যশোর প্রতিনিধি : জ্ঞাত আয় বহিঃর্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী শফিউল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রবিবার দুদকের সমন্বিত যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন মামলাটি করেছেন।  অভিযুক্ত শফিউল আলম যশোরের অভয়নগরের চলিশিয়া গ্রামের গোলাম সরদারের ছেলে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, তার নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠলে দুদক থেকে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ১০ জুন দুদকের যশোর কার্যালয়ে জবাব দাখিল করেন। সেখানে তিনি পৈত্রিক সূত্রে ৭ দশমিক ২ শতক জমির মালিক বলে উল্লেখ করেন।

এছাড়া ২০১১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পাবার পর নিজ ও স্ত্রীর নামে ৩৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকার জমি ক্রয় ও ২৪ লাখ টাকার বিল্ডিং নির্মাণ এবং ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৬৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকার সম্পদ থাকার ঘোষণা দেন। কিন্তু গণপূর্তের সহায়তায় জানতে পারে বাড়ি নির্মাণে ৩৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭০ টাকা, স্ত্রীর নামে জমি ক্রয়ে ব্যয় করেছেন ৪০ লাখ ৫৭ হাজার ৯শ টাকা।

অভিযুক্তের ২০২০-২১ অর্থ বছরের আয়কর রিটার্ন পর্যালোচনা করে দুদক জানতে পারে তার ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে ১০ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৯ টাকা ও ৬০ হাজার ইলেক্ট্রিক সামগ্রী রয়েছে।

সম্পদ যাচাইকালে দুদক জানতে পারে তাদের নামে স্থাবর ৭৬ লাখ ২১ হাজার ৬৭০ টাকা ও অস্থাবর ৩৮ লাখ ৭৯ হাজার ৬৫৩ মোট ১ কোটি ১৫ লাখ ১ হাজার ৩২৩ টাকার সম্পত্তি থাকার তথ্য মিলেছে। এ হিসেবে তিনি ৪৭ লাখ ২২ হাজার ৩২৩ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন।

দুদকের সমন্বিত যশোর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আল আমিন বলেন, ২ মে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে খুলনা অফিসের এক স্মারকে মামলা দায়ের অনুমোদন প্রাপ্ত হয়ে যবিপ্রবির সহকারী প্রকৌশলী শফিউল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

(এসএ/এসপি/মে ১৫, ২০২৩)