সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার  ঘটনায় গ্রেফতারকৃত যুবদল নেতা জহুরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারি কর্মকতা কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শফিকুর রহমানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানী শেষে সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গোলাম নবী রবিবার দুপুরে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া যুবদল নেতার নাম জহুরুল ইসলাম (৩৮)। তিনি কেরালকাতা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও দরবাসা গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) শেখ শফিকুর রহমান জানান, ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখে যশোরে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা তার গাড়ি বহরে হামলার শিকার হয়।

এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেমউদ্দিন বাদি হয়ে ওই সালের ২ সেপ্টেম্বর ২৭জন বিএনপি নেতা কর্মীর নামে আদালতে মামলা করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে হামলাকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তৎকালি কলারোয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয় আদালত। মামলাটি চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নারাজির আবেদন খারিজ হয়ে যায়। পরে দায়রা জজ আদালতে মামলাটির রিভিশন খারিজ হওয়ায় বাদি হাইকোর্টের দারস্ত হয়। হাইকোর্টের এক আদেশে মামলাটির কার্যক্রম নতুন করে শুরু করার জন্য সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিমকে বলা হয়।

সে অনুযায়ি গত ১৫ অক্টোবর সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম নিতাই চন্দ্র সাহা শুনানী শেষে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। আদেশ থানায় পৌঁছানোর পর রাতেই মামলাটি (১৪নং) রেকর্ড করে তাকে (শফিকুর) তদন্ত ভার দেওয়া হয়। সে অনুযায়ি ২১ অক্টোবর রাতে যুবদল নেতা জহুরুল ইসলামকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। ২৩ অক্টোবর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়।

তিনি আরো জানান, জহুরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামিকাল সোমবার জেলখানা থেকে থানায় নিয়ে আসা হবে।

(আরকে/এএস/অক্টোবর ২৬, ২০১৪)