স্টাফ রিপোর্টার : শেয়ারবাজারে দাপট দেখিয়েই চলেছে বিমা খাত। গত কয়েক কার্যদিবসের মতো বৃহস্পতিবারও শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বিমা খাতের দাপট ছিল একচেটিয়া। বিমার দাপটে সার্বিক শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের গতি।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়ে নয়শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সবকয়টি মূল্যসূচক। পাশাপাশি দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সবকয়টি মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসই’র প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

লেনদেনের শুরুতে সূচক বাড়াতে মূল ভূমিকা পালন করে বিমা খাত। শুরু থেকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। দিনের লেনদেন শেষে এ খাতের ৪৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে মাত্র ৬টির।

দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখানো বিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩টির শেয়ারের দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণে বেড়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটির দাম দিনের সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি চলে আসে।

বিমা খাতের এমন দাপটের দিনে ডিএসইতে ১১৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৭টির এবং ১৮১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৬৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৯৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকয়টি মূল্যসূচক বাড়ার দিনে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৩২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭১১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২২০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৯ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্সের ৩৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- জেমিনি সি ফুড, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন হাউজিং, মুন্নু সিরামিক, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট এবং ইউনিক হোটেল।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৫টির এবং ৯০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

(ওএস/এসপি/মে ১৮, ২০২৩)