স্টাফ রিপোর্টার : অস্থাবর সম্পত্তির বিপরীতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ পাওয়া যাবে। এ লক্ষ্যে ‘সুরক্ষিত লেনদেন (অস্থাবর সম্পত্তি) আইন, ২০২৩’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মাহবুব হোসেন বলেন, আমাদের ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত ঋণ নিয়ে থাকে স্থাবর সম্পত্তির ভিত্তিতে। অস্থাবর যে সম্পত্তি আছে তার আওতায় ঋণ দেওয়ায় আমাদের কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ করে, কিন্তু তার আইনগত কোনো ভিত্তি ছিল না। সেই আইনগত ভিত্তি দিতেই আইনটি করা হচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যে অস্থাবর সম্পত্তির বিপরীতে ঋণ নেওয়া হবে, সেই অস্থাবর সম্পত্তি আগে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য একটি অথরিটি হবে। সেখান থেকে নিবন্ধন নিয়ে যেকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়া যাবে।

তিনি বলেন, মূলত যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, বিশেষ করে যারা আইসিটি দিয়ে ব্যবসা করেন, যাদের একটা অ্যাপস আছে, একটা সফটওয়্যার আছে কিংবা কোনো একটা বিষয়ে মেধাস্বত্ব আছে, সেগুলোকে নিবন্ধন অথরিটি থেকে বাজার দরে মূল্যায় করে ব্যাংক ব্যবস্থায় এক্সেস তৈরি (ঋণ নেওয়া) হবে।

মেধাস্বত্বসহ ১৬টি অস্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখে ঋণ নেওয়া যাবে বলে জানান মাহবুব হোসেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় তিনি উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো- ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত স্থায়ী আমানতের সনদ, সোন-রূপা ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু, যার ওজন ও বিশুদ্ধতার মান স্বীকৃত কর্তৃপক্ষ দ্বারা সার্টিফাই, নিবন্ধিত কোম্পানির শেয়ার সার্টিফিকেট, মেধাস্বত্ব অধিকার দ্বারা স্বীকৃত মেধাস্বত্ব পণ্য, আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক পণ্য, সফটওয়্যার বা অ্যাপস যার মূল্য প্রাক্কলন করা সম্ভব, যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধিত যান্ত্রিক বা অযান্ত্রিক যানবাহন, যথাযথ সংরক্ষিত কৃষিজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত মৎস্য বা জলজ প্রাণী ও বন্যপ্রাণী, উভচর-প্রাণী ছাড়া আয়বর্ধক জীবজন্তু, সুরক্ষার স্বার্থ স্বীকৃত যেকোনো চুক্তি বন্ধক সাপেক্ষে বিক্রয় ডিবেঞ্চার, যেকোনো চাষ বা কিস্তিতে ক্রয় চুক্তি, বিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এক বছরের অধিক মেয়াদি কোনো ইজারা, সড়ক পরিবহন আইন দ্বারা নিবন্ধিত কোনো মোটরযান বা জামিনদারের দখলে থাকা পণ্যের ওপর সৃষ্ট সুরক্ষা স্বার্থ, কোনো বার্ষিক ভাতা বা বিমা পলিসির অধীন সৃষ্ট কোনো স্বার্থ বা দাবি বা জামানতের ক্ষয়ক্ষতি পূরণের নিশ্চয়তা হিসেবে কোনো বিমা পলিসির অধীন প্রাপ্য অর্থ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা শুনেছি আগে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান শেয়ার বা এফডিআরের বিপরীতে ঋণ দিতো। এর আইন গত কোনো ভিত্তি ছিল না। এখন এর আইনগত ভিত্তি দেওয়া হলো।

তিনি বলেন, আজকের মন্ত্রিসভায় ‘বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি আইন ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন ২০২৩’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

(ওএস/এএস/মে ১৮, ২০২৩)