নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল গ্রামে মধুমতি নদীর পাড়ে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, শুক্রবার থেকে মাকড়াইল গ্রামে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর চলছে। 

লোহাগড়ার লাহুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম শিকদার অভিযোগ করেন, ‘শালনগর ও লাহুড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় নগ্ননৃত্য ও জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। গত ২০ও ২১ অক্টোবর শালনগর ইউনিয়নের চরশালনগর গ্রামে এবং এর আগে লাহুড়িয়া ইউনিয়নের এগারোনলীতে কমরের ইটের ভাটার সামনে জুয়ার আসর শেষ হয়েছে। এদিকে, গত শুক্রবার থেকে মাকড়াইল গ্রামে শুরু হয়েছে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর।

তিনি (আব্দুস সালাম) আরো বলেন, এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি এবং লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জকে একাধিকবার বলা হলেও জুয়া ও অশ্লীল নাচ বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ।

মাকড়াইল গ্রামের মজিবর খান ও এবাদত খানসহ অনেকে জানান, মাইকে গানবাজনার সাথে চলছে নগ্ন নৃত্য ও জুয়া খেলা। এলাকার লোকজন রাতে ঘুমতে পারছেন না। লেখাপড়া করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। বিপাকে পড়েছে জেএসসি, পিএসসি ও বার্ষিক পরীক্ষার্থীরা। এ নিয়ে এলাকাবাসী পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের তত্ত্বাবধানেই এসব অশ্লীল কাজ চলছে।

অভিযোগ রয়েছে, এলাকার চিহ্নিত পেশাদার জুয়াড়ি লোহাগড়ার চরকালিশংকরপুর গ্রামের গোলাম কবিরের নেতৃত্বে আরো কয়েকজন জুয়াড়ি জুয়া খেলছে। তবে অভিযুক্ত জুয়াড়ি গোলাম কবিরের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। এদিকে, প্রতি রাতে লোহাগড়া থানার ওসিকে ১৫ হাজার এবং লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জকে ৫ হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাইফুদৌলার কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনি যা পারেন তা লেখেন।’ তিনি (সাইফুদৌলা) দাবি করেন এমন কিছু এলাকায় হচ্ছে না। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুভাষ বিশ্বাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

(টিএআর/এএস/অক্টোবর ২৬, ২০১৪)