ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ


ফিস্টুলা রোগকে বাংলায় বহুল প্রচলিত ভগন্দর রোগ বলা হয়। অনেকেই ফিস্টুলা নামক যন্ত্রণাদায়ক রোগে ভুগে থাকেন। এটি মলদ্বারের একটি জটিল রোগ। মলদ্বারে ফিস্টুলা বা ফোঁড়া একটি পরিচিত রোগ। মলদ্বারের ভেতরে এক বা একাধিক ফোঁড়ার মুখ দিয়ে মাঝে মধ্যে পুঁজ বের হয়। 

আর ফিস্টুলা বা ভগন্দর রোগটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের আদি থেকেই ডাক্তারদের কাছে সুপরিচিত। ফিস্টুলার বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। নালিটি মলদ্বারের কোনো কোনো স্তরভেদ করেছে বা কতটা গভীরে প্রবেশ করেছে মূলত তার ওপর নির্ভর করেছে এর জটিলতা।

বিভিন্ন ধরনের ফিস্টুলার চিকিৎসার জন্য রয়েছে বিভিন্ন কৌশল ও পদ্ধতি। রোগীদের ধারণা আমাদের দেশে ফিস্টুলা আবার হওয়ার আশঙ্কা খুবই বেশি।

ফিস্টুলা বা ভগন্দর রোগের ইতিহাস

২০০০ বছর আগের বই-পুস্তকেও ফিস্টুলা সম্পর্কে আলোচনা পাওয়া গেছে। সাধারণত মলদ্বারের পাশের গ্রন্থি (Anal gland) বন্ধ ও সংক্রমিত হয়ে বিষফোঁড়া হয় এবং বিষফোঁড়া ফেটে গিয়ে নালি তৈরি করে। মলদ্বারে বিষফোঁড়া হওয়া রোগীদের শতকরা ৫০ ভাগ রোগীর ফিস্টুলা হয়। অনেক সময় ফিস্টুলা এবং বিষফোঁড়া একই সঙ্গে প্রকাশ পায়।

এছাড়া মলদ্বারের যক্ষা, বৃহদন্ত্রের প্রদাহ এবং মলদ্বারের ক্যান্সার থেকে ফিস্টুলা হয়। শিশুদের সাধারণত ফিস্টুলা হয় না। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি এক লাখ লোকের মধ্যে আট থেকে নয় জন ফিস্টুলা রোগে আক্রান্ত।

মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা (প্রায় দ্বিগুন) বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন।

রোগীর ব্যথা, মলদ্বারের পাশে ফোলা এবং নিজে থেকে ফেটে গিয়ে পুঁজ-পানি ঝরা কিংবা বিষফোঁড়ার জন্যে আগের অপারেশনের ইতিহাস নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসেন। পুঁজ-পানি পড়লে ব্যথা কমে যায় এবং রোগী আরাম বোধ করেন এবং কিছুদিনের জন্যে রোগী ভালো হয়ে যান। রোগটি দুতিন মাস সুপ্ত থেকে আবার দেখা যায়।হিপক্রেটিস (আনুমানিক ৪৩০ খৃস্টপূর্ব) সর্বপ্রথম ফিস্টুলার সার্জিক্যাল চিকিৎসা করেন বলে বইপত্রে উল্ল্যেখ পাওয়া যায়। ১৯ শতকের শেষ থেকে ২০ শতকের শুরুর দিকে গুডসেল, মাইলস, মিলিগ্যান এবং মরগ্যান, থম্পসন প্রমুখ সার্জনগন ফিস্টুলা চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ১৯৭৬ সালে পার্কস ফিস্টুলার যে শ্রেণিবিভাগ করেন সেটি এখনও সর্বজনবিদিত। পরে ফিস্টুলা চিকিৎসায় বহু পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে কোনটি শ্রেষ্ঠ বা যথাযথ সে বিষয়ে চিকিৎসকরা এখনও ঐক্যমতে আসতে পারেননি।

ফিস্টুলা রোগটির কারণ কী এবং কী করে হয়

এ রোগটির উৎপত্তি হয় মলদ্বারের বিশেষ ধরনের সংক্রমণ-এর কারণে। মলদ্বারের ভেতরে অনেকগুলো গ্রন্থি রয়েছে এগুলোর সংক্রমণের কারণে ফোড়া হয়। এই ফোড়া এক সময় ফেটে গিয়ে মলদ্বারের চর্তুদিকের, কোনো একস্থানে একটি ছিদ্র দিয়ে বের হয়ে আসে এবং পুঁজ নির্গত হতে থাকে। এ সংক্রমণের কারণে মলদ্বারে প্রচুর ব্যথা হয়। রোগী সারা দিন ব্যথায় কাতরাতে থাকে। পুঁজ বের হওয়ার পর ব্যথা কমতে থাকে। মলদ্বারে পার্শ্বস্থিত কোনো স্থানে এক বা একাধিক মুখ দিয়ে মাঝে মধ্যে পুঁজ বের হয়ে আসাকে আমরা ফিস্টুলা বা ভগন্দর বলে থাকি।

মলদ্বারের ক্যান্সার এবং বৃহদান্ত্রের প্রদাহজনিত রোগে ও ফিস্টুলা হয়ে থাকে। মলদ্বারে যক্ষ্মার কারণেও ফিস্টুলা হতে পারে।

ফিস্টুলা কত প্রকার

সাধারণ ফিস্টুলা : এটি মলদ্বারের মাংশপেশির খুব গভীরে প্রবেশ করে না বিধায় চিকিৎসা সহজসাধ্য।

জটিল ফিস্টুলা : এর বিভিন্ন প্রকার ভেদ রয়েছে এবং এবং তা নির্ভর করে এর নালটি মলদ্বারের মাংসের কতটা গভীরে প্রবেশ করেছে এবং কতটা বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে এটি বাইরের মুখ পর্যন্ত এসেছে। এগুলোর চিকিৎসা সত্যিকার দুঃসাধ্য। তারপর যদি এ নালি একের অধিক হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। এ রোগের অপারেশনের প্রধান প্রতিবন্ধকতা হল সঠিকভাবে অপারেশন সম্পাদন করতে ব্যর্থ হলে রোগী মল আটকে রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে।

ফিস্টুলা বা ভগন্দরের লক্ষণ বা উপসর্গ

এ রোগের লক্ষণ মূলত তিনটি। যেমন- ১. ফুলে যাওয়া, ২. ব্যথা হওয়া এবং ৩. নিঃসরণ বা পুঁজ ও আঠাল পদার্থ বের হওয়া।

বেশিরভাগ রোগীই আগে মলদ্বারে ফোড়া হয়েছিল বলে জানান। ভেতরে ফোড়া হাওয়ার জন্য ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়। যখন এগুলো ফেটে মুখ দিয়ে কিছুটা পুঁজ বের হয়ে যায় তখন ব্যথা এবং ফোলা কমে যায়। নিঃসরণ বা পুঁজ পড়া সাধারণত মাঝে মাঝে হয়। কখনও কখনও ২-৪ মাস রোগটি সুপ্ত থাকে।

কখনও কখনও মলের সঙ্গে পুঁজ ও আম পড়তে থাকে। সমস্যা একটানা না থাকার কারণে রোগীরা অনেক সময় ভাবেন যে সম্ভবত ভালো হয়ে যাব। কিন্তু দু’চার মাস পর আবার যখন একই সমস্যা দেখা দেয় তখন আবার আমাদের কাছে এসে বলে স্যার এখন কি করা যায়?

কী কী পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন

* প্রক্টস্কপি, সিগময়ডসকপি * কোলনস্কপি

* বেরিয়াম এক্সর * এনাল এন্ডোসনোগ্রাফি।

ঘরোয়া উপায়

_ ফিস্টুলার ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে দিনে তিন থেকে চারবার গরম পানি ব্যবহার করুন। এক বড় পাত্রের মধ্যে হালকা গরম পানিতে বসে থাকুন ১০ মিনিট। এতে ব্যথা কমবে।

_ এই সমস্যা থেকে বাঁচতে অবশ্যই ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। জাঙ্ক ফুড একেবারেই খাওয়া যাবে না। পাশাপাশি খালি পেটে নিয়মিত গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন। এছাড়াও তোকমা দানা বা ইসুবগুলের ভুষিও খেতে পারেন।

_ ফিস্টুলার স্থানে অরিগেনো অয়েল বা নারকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়,অ্যানিফাঙ্গাল,অ্যানিবায়োটিক ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে এসব তেলে। যা ক্ষতস্থানের প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করবে।

_ প্রচুর পানি পান করুন। পাশাপাশি আদা চা, হলুদ দুধ পান করুন। এতে কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা কমবে।

_ দীর্ঘক্ষণ একই জায়গায় বসে থাকবেন না। প্রয়োজনে চেয়ারে বসার সময় বালিশ ব্যবহার করুন।

_ ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখুন। যতবার টয়লেট ব্যবহার করবেন ততবারই সচেতন থাকুন।

_ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন। নিয়মিত মাছ, অলিভ অয়েল, ওমেগা ৩, ওমেগা ৬, ভিটামিন গ্রহণ করুন।

_ ফিস্টুলার সমস্যা বেশি বাড়ন্ত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করুন।

এলোপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা

সার্জারিই ফিস্টুলার একমাত্র চিকিৎসা। অপারেশনের মাধ্যমে অস্বাভাবিক সংযোগটি সম্পূর্ণভাবে তুলে আনতে হয়। যদি কোনো অংশ থেকে যায় তবে আবার রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি জটিল আকারও ধারণ করতে পারে। যেহেতু ওপর/হাই প্রকার ফিস্টুলার চিকিৎসা একটু জটিল। তাই এ ক্ষেত্রে ফিস্টুলেকটমি ও সেটন ব্যবহার করা হয়। হাই ফিস্টুলার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ফিস্টুলার সংযোগ কেটে আনতে গেলে রোগীর এনাল স্ফিংটার ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং মল ঝরবে। তাই এ ক্ষেত্রে সেটন ব্যবহার করা হয়। এ পদ্ধতির ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক। যেসব ক্ষেত্রে ফিস্টুলেকটমি ও সেটন ব্যবহার করা সম্ভব নয়, সেসব ক্ষেত্রে অ্যান্ডোরেকটাল অ্যাডভান্সমেন্ট ফ্লাপ ব্যবহার করা হয়। উন্নত বিশ্বে এ পদ্ধতি বহুলপ্রচলিত ও জনপ্রিয়।ফিস্টুলোটোমি। * ফিস্টুলেকটোমি। * সিটন পদ্ধতি। * ফিস্টুলা প্লাগ। * ফিস্টুলা গ্লু। * ফ্ল্যাপ ব্যবহার। * রেডিওফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার। * লেজার ব্যবহার। * স্টেম সেল ব্যবহার। * মলদ্বারের মাংসপেশির মাঝখানের নালি বন্ধ করে দেওয়া। * এন্ডোস্কোপিক ফিস্টুলা সার্জারি।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা

ফিস্টুলা বা ভগন্দর ঔষধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা উত্তম। কারণ যেহেতু মলদ্বার একটি সংবেদনশীল জায়গা, তাই সেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপারেশনের পর সংক্রমণ (ইনফেকশন) হতে পারে। জায়গাটি সংক্রমিত হলে জটিলতা আরো বেড়ে যায়। তিন থেকে চার মাস নিয়মিত ওষুধ সেবন ও ব্যবহার করলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাই মলদ্বারের এই জটিল এবং কষ্টদায়ক রোগগুলি চিকিৎসার জন্য রয়েছে বিভিন্ন শক্তির বহু হোমিওপ্যাথিক ঔষধ। একজন হোমিও চিকিৎসক মূলত রোগীর হিস্ট্রি নিয়ে তার সার্বদৈহিক অবস্থা এবং জেনেটিক অবস্থা বিবেচনা পূর্বক নির্দিষ্ট ঔষধ নির্দিষ্ট শক্তিতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রয়োগ করে। লক্ষণ অনুযায়ী প্রাথমিক ভাবে অভিজ্ঞ চিকিৎসকগন নিম্নোক্ত ওষুধগুলো ব্যবহার করে থাকেন। মেডোরিনামঃ-মলদ্বার থেকে মাংস ধোয়া পানির মত দূর্গন্ধ রস ঝরিলে মেডোরিনাম অব্যর্থ।* সিলিসিয়া : পূঁজ পাতলা ও দুর্গন্ধ। বেড়াবার সময় কিংবা বাহ্যের সময় খোঁচা মারা বেদনা। * বেলেডোনাঃ ফিস্টুলার প্রথম অবস্হায় মলদ্বার লাল বর্ণ ,অত্যন্ত দপদপানি বেদনা,রোগী রক্তপ্রধান হলে বেলেডোনা প্রয়োজন হয়।* অ্যাসিড ফ্লোরঃ ইহা সাইলিসিয়ার একটি এন্টিডোট ও ফিস্টুলায় উপকারী। * বারবারিস: স্পর্শে বেদনা, বসিতে কষ্ট, মলদ্বার চুলকায়।* সালফার : মলদ্বার ফোলে, দপ্ দপ্ করে, মল ত্যাগের পর ছুরি বেঁধার মতো বেদনা। * হিপার সালফ : ফিস্টুলা খুব বেদনাদায়ক এবং কিছুদিন ব্যথা থাকে। পরে হঠাৎ করে তা স্ফোটকে পরিণত হলে ব্যথা কমে স্ফোটকটি দ্রত ফেটে যায় এবং রোগী উপশম বোধ করে। * মাইরিষ্টিকা : এর ব্যথা যন্ত্রণা হিপার অপেক্ষা ও অধিক প্রবল। বেদনা যন্ত্রণা অত্যন্ত অধিক থাকিলেও হিপারে উপশম না হলে এটা প্রয়োগ করা হয়।* ফসফরাস : ফিস্টুলার সহিত ফুসফুসের কোনো দোষ থাকলে। ফসফরাস ধাতুর ব্যক্তিগণের মলদ্বারে ক্ষত ও পূঁজ রক্ত নিঃসরণে। * কস্টিকাম: মলদ্বারে হঠাৎ বিদ্ধকর বেদনা, স্পর্শে যন্ত্রণা, মলদ্বাওে চুলকানি। * হাইড্রাস্টিস : কোষ্ঠবদ্ধসহ অর্শ, ক্ষত তৎসহ দুর্গন্ধ মল নিঃসরণ থাকিলে।* ল্যাকেসিস : মাতালদের ও পুরাতন ফিস্টুলায়। * র‌্যাটানহিয়াঃ-সর্বদাই মলদ্বারে রস ঝরে।জ্বালা করে,সেই জ্বালা ঠান্ডা পানিতে উপশম হলে এটি উপকারী।মল শক্ত,মলত্যাগের সময় অত্যন্ত কোথানি,টাটানি বেদনা থাকে এবং বেদনা মলত্যাগের পরেও থাকে।মলদ্বারে যেন কাচের টুকরা দ্বারা খোচানো হচ্ছে এরুপ মনে হয়।মলদ্বার ফেটে যায়,রেকটামে অত্যন্ত বেদনা ও জ্বালা থাকে। * এসিড না : বাহ্যের সময় ও পরে ভয়ানক জ্বালা, মলদ্বার ফাটে ও ঘা হয়।* পিওনিয়াঃ-মলদ্বার সবসময় রসে ভিজা থাকে,টাটানি ব্যথা,পুজ পড়ে ইত্যাদি লক্ষনে এটি উপকারী।মলদ্বারে দীর্ঘস্হায়ী বেদনা থাকে, মলদ্বারে তীব্র বেদনা হাটতে পারে না,মলের সাথে রক্ত মিশ্রিত থাকে।

পেটে বেদনা সহ উদরাময়ের সাথে ফিস্টুলা থাকলে পিওনিয়া উপযোগী ঔষধ। *গ্রাফাইটিস, মলদ্বারে ফাটা ঘা, রক্ত-রস পড়া। * অরাম মিউর : পূঁজ শীঘ্র শুকায় না। পূঁজ পাতলা রসানি অথবা কলতানির মতো, রক্ত মিশ্রিত, অত্যন্ত দুর্গন্ধ। *সিডাম আরসিঃএটি একটি কম পরিচিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ হতে পারে,কিন্তু সেডাম আরসি ফিস্টুলার মলদ্বারের সংকোচনশীল বেদনা নিরাময়ে উপযোগী। * নেট্রাম মিউরঃমলদ্বার যেন ছোট হয়ে গেছে-মলত্যাগের পর মলদ্বার ছিঁড়ে যায়, রক্ত পড়ে, টনটন করে, যন্ত্রনা হয়। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নেট্রাম মিউর যখন শক্ত এবং শুষ্ক হয় তখন সহায়তা করে।মলদ্বার সংকোচন কারণে ক্ষণস্থায়ী যখন মলে ঘর্ষণ হয়। রক্তপাত এবং জ্বলন্ত ব্যথায় এটি কার্যকর।* এলো সাইকোট্রিনাঃমলদ্বারে আঙ্গুরের থোকার মত, বলি নীল বর্ণ ,ঠেলা মারা বেদনা, রক্তস্রাবী ক্ষতভাব ছোয়া লাগানো যায় না মলদ্বারে গরম ভাব,ঠান্ডা পানিতে আরাম।মলদ্বারে চুলকানী ও জ্বালার জন্য ঘুমাতে পারে না। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কেউ ওষুধ নিজে নিজে ব্যবহার করিবেন না।পরিশেষে বলা যায় যে, ফিস্টুলা রোগীর চিকিৎসা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের মাধ্যমে সম্ভব এবং সঠিক চিকিৎসায় ফিস্টুলা ভালো হয়। রোগ নিয়ে লজ্জা না পেয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন, সুস্থ থাকুন।

লেখক : চিকিৎসক, কলাম লেখক ও গবেষক।