জোটন চন্দ্র ঘোষ, হালুয়াঘাট : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার গাজিরভিটা ইউনিয়নের ডুমনিকুড়া গ্রামে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে ভারতীয় বন্যহাতির আক্রমণে বসতবাড়ি ভাঙচুরসহ ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যহাতির আক্রমণে গত কয়েকদিনে  ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরে সীমান্তবর্তী এই উপজেলার গাজিরভিটা ইউনিয়নের ডুমনিকুড়া , নামছাপাড়া, কাটাবাড়ি গ্রামে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত চলে হাতির তাণ্ডব। ফলে সন্ধ্যার পর থেকে হাতির পালের হামলার আশঙ্কায় সময় কাটে স্থানীয়দের। সম্প্রতি দুইজন হাতির পায়ে পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

৫০ থেকে ৬০টি হাতির পালের তাণ্ডব শুরু হয় সন্ধ্যা থেকে, চলে ভোররাত পর্যন্ত। বন্য হাতির তাণ্ডবে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও হাতির পাল মানুষের ঘরে থাকা ধানচালও নষ্ট করছে; আসবাবপত্র ও গাছপালা ভাঙচুর করছে।

এলাকাগুলো হাতির পালের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি। এসব এলাকার বেশিরভাগ মানুষ নির্ঘুম রাত পার করছেন। যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের ভোগান্তি বাড়ছে।

স্থানীয়রা জানান “ প্রতিদিন হাতির একটি দল পাহাড় থেকে সমতলে নেমে আসে। হাতির ওই পালের তাণ্ডব শুরু হয় সন্ধ্যা থেকে, চলে ভোররাত পর্যন্ত। আমরা টর্চ লাইট, আগুন জ্বালিয়ে এবং পটকা ফাটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে গেছেন।

“যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে প্রশাসন সহযোগিতা না করলে ঘরে ওঠা সম্ভব হবে না। আমরা সীমান্তবর্তী লোকজন এমনিতেই আর্থিক অস্বচ্ছলতার মধ্যে থাকি।”

প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ নিলে হাতির তাণ্ডব কমবে। আমাদের ঘরবাড়ি ফসলের ক্ষতি হলেও ভয়ে আমরা হাতিকে আঘাত করতে পারি না, সব দিক থেকেই সমস্যায় আছি আমরা। খাবারের অভাবে হাতির পাল মেঘালয় থেকে নেমে এসেছে। আর আমাদের এলাকায় ঘরবাড়িতে তাণ্ডব চালাচ্ছে।

প্রশাসনের নিকট ক্ষতিগ্রস্তদের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান এলাকাবাসীর।

(জেসিজি/এএস/মে ২৭, ২০২৩)