রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুর পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে একদিনেই আহত হয়েছে শিশু, নারী ও পুরুষসহ ২৫ জন। আহতদের চিকিৎসায় জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেই জলাতঙ্ক নিরোধে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন। এতে বিপাকে পড়েছে রোগীরা। একই সঙ্গে ভ্যাকসিন সঙ্কটে রোগীর স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।  

রবিবার (২৮ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৌর শহরের ফুলবাড়িয়া, শাহপুর, মুন্সিপাড়া ও জিগাতলাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় কুকুড়ের কামড়ে লোকজন আহত হন।

আহতরা হলেন আব্দুল কাদের তরফদার দুলাল (৭৫), মিন্টু মিয়া (৫৫), নূর ইসলাম (৩৫), নুর (২), রেজিয়া বেগম (৩৫) সহ ২৫জন।

আহত আব্দুল কাদের তরফদার দুলাল, মিন্টু মিয়া, নুর ইসলাম, নুর ও রেজিয়া বেগম জিগাতলা এলাকার বাসিন্দা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জামালপুর পৌর শহরের ফুলবাড়িয়া, শাহপুর, মুন্সিপাড়া ও জিগাতলাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় কুকুরের কামড়ে ২৫জন আহত হয়। সকাল থেকে বেওয়ারিশ কুকুর মানুষের ওপর আক্রমণ চালায়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে ২৫জন হাসপাতালে আসেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

পৌর শহরের জিগাতলা এলাকার আব্দুল কাদের তরফদার দুলাল বলেন, ‘সকালে নাস্তা করে বাসায় ফিরছিলাম। এমন সময় আমার ১০-১২হাত সামনে একজনকে কুকুরে কামড় দিয়েছে তা খেয়াল করিনি। তাকে ছেড়ে দিয়ে আমাকে এসে আক্রমণ করে। আমার পা ও হাতে কামড় দেয়। পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে আসি।

একই এলাকার মিন্টু মিয়া বলেন, ‘চায়ের জন্য দুধের প্যাকেট কিনতে গেছিলাম। ফেরার পথে একটি কুকুর আমার উপড় আক্রমণ করে। পরে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে আসি। হাসপাতাল থেকে আমাদের ভ্যাকসিন ও ওষুধপত্র কোনোকিছুই দেয়নি। সব ওষুধ আমাদের কিনতে হয়েছে’।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম রাজিব জানান, 'সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে ২৫জনের মতো চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতর আহত রয়েছেন। ক্ষতস্থান সাবান দিয়ে ১৫মিনিট পরিস্কার করতে হয়। অনেকেই বাসা থেকে সেটি করে এসেছেন। যারা ক্ষতস্থানে সাবান দিয়ে পরিস্কার করে আসেননি তাঁদের ক্ষতস্থান পরিস্কার করে দেওয়া হয়েছে। কুকুরের কামড়ে আহতদের র‌্যাভিক্স ডিসি ও র‌্যাভিক্স ইমোনো গ্লোবিওলিন ভ্যাকসিন দিতে হয়। হাসপাতালে র‌্যাভিক্স ডিসি ভ্যাকসিন না থাকায় রোগীদের কিনে দিতে হয়েছে। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হলেও তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।'

(আরআর/এএস/মে ২৮, ২০২৩)