স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : রাশেদ মিয়া। বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের দামুকদিয়া গ্রামে। গ্রামে গড়ে তুলেছেন ক্যাডার বাহিনী। করছেন অন্যের জমি দখল, প্রতিপক্ষকে গ্রামে থাকতে নিচ্ছেন চাঁদা, না দিলে করছেন হামলা-ভাংচুর, থাকতে দিচ্ছেন না গ্রামে। হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। তিনি আবার গ্রামের মাতব্বরও। নিজের অবৈধ নানা কাজের সাথে আবার জড়িয়েছেন বিএনপির কিছু চিহ্নিত ক্যাডারদের। যারা প্রতিনিয়ত গ্রামে হামলা, জমি দখল সহ নানা অপকর্ম করে আসছেন। এদের ভয়ে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ জনগণ। তাদের অত্যাচারে প্রায় দুই বছর ৭০টি পরিবার বাড়ি ছাড়া ছিল। তাদের মধ্যে অনেকেরই গ্রামে ঢুকতে দামুকদিয়া গ্রামের মাতব্বর রাশেদ, পিন্টু, বাবু সহ কয়েকজনকে দিতে হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। 

সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাড়ি ফিরেছেন তারা। করতে দেওয়া হচ্ছে না চাষাবাদ, চায়ের দোকান ও ভ্যানেও উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। বাড়ি থেকে বের হলেই আতঙ্ক বিরাজ করছে তাদের মনে।

সর্বশেষ রবিবার রাতে সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু সমর্থিত দামুকদিয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী চঞ্চল ও উজ্জলের বাড়িতে গ্রামের মাতব্বর রাশেদ, পিন্টু, বাবুর নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালায় ওই গ্রামের বাদশা জোয়াদ্দার, মিজানুর, জীবন, আকা, আশরাফুল জোয়াদ্দার, ফিরোজ জোয়াদ্দার, আরি জোয়াদ্দার, বিদ্যুৎ সহ প্রায় ৩০ জন। এসময় ঘরের টিনের বেড়া ভাংচুর করা হয়। পিটিয়ে আহত করা হয় চঞ্চল, লাকি ও তার মেয়ে মিরাকে । আহতরা বর্তমানে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

আহত লাকি খাতুন বলেন,রবিবার রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে প্রায় ৩০ জন অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও তাদেরকে পিটিয়ে আহত করা হয়। জড়িতদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে রাশেদ মিয়া জানান, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে প্রতিপক্ষরা অপপ্রচার চালাচ্ছে। থানা পুলিশের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক তারা জানে আমি কেমন।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন করেছে। জড়ীতদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

(একে/এসপি/মে ২৯, ২০২৩)