স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নাথকুণ্ডু গ্রামের কাটার খাল এখন কৃষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে। খালের মুখ বন্ধ করে দিয়ে ওই গ্রামে সহোদর লিয়াকত আলী খাঁ ও আলাল খাঁ মাছ চাষ করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছন ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা। খালটি উন্মুক্ত করে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ তৈরি করতে জেলা প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা।

জানা গেছে, সদর উপজেলার সাধুহাটি বিএডিসি ফার্ম, সাধুহাটি, নাথকুণ্ডু, মামুনশিয়া, রাঙ্গিয়ারপোতা, মাগুরাপাড়া, পোতাহাটি, বংকিরা, জিবনাসহ প্রায় ২০টি গ্রামের পানি প্রবাহ হয় কাটার খাল দিয়ে। হঠাৎ করেই ওই খালের উপর নজর পড়ে নাথকুণ্ডু গ্রামের প্রভাবশালী লিয়াকত আলী খাঁ ও আলাল খাঁ নামের দুই ভাইয়ের। তারা খালের মুখ বন্ধ করে পুকুর খনন করে মাছ চাষ শুরু করে। এতে করে খালের পানিপ্রবাহ একেবারেই বন্ধ হয়ে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকেরা তাদের ফসলি জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না।

নাথকুণ্ডু গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল মান্না মোল্লা ও বংকিরা গ্রামের সবুজ বিশ্বাস জানান, খালের মুখ বন্ধ করে রাখার কারণে ২০ গ্রামের কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জমিতে পানি জমে থাকছে। ফলে আমন মৌসুমের আবাদ হুমকির মুখে পড়েছে।

বিষয়টি নিয়ে সাধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন খালের মুখ বন্ধ করার সত্যতা নিশ্চত করে জানান, উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। খালের মুখ খুলে না দিলে কৃষকরা চরম ভাবে বিপদগ্রস্থ হবেন।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন জানান, খালের মুখ বন্ধ করার বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি সরেজমিন গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।

(একে/এএস/মে ৩০, ২০২৩)