লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : ঋতু গণনায় শীতকালে আমেজ আসতে না আসতেই লেপ-তোষক তৈরির ধুম পড়েছে। কিছুদিন পরেই জেঁকে বসবে শীত। এবার শীতের আমেজ আগেই টের পাওয়ায় জনসাধারণ ভিড় জমাতে শুরু করেছে লেপ-তোষকের দোকানে। তাই লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার শীতকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে ধুনরিদের। 

তুলা, লেপের কাপড়, ফোম এবং মজুরি গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা। তাই রায়পুর উপজেলার তুলাপট্টিতে তুলা দিয়ে তৈরি লেপ বানানোর মজুরির পাশাপাশি বেড়েছে তুলা ও কাপড়ের দাম। তাই এসব দোকানে দিন দিন বেড়েই চলছে লেপ ক্রেতাদের ভিড়। পাশাপাশি ব্যস্ততা বাড়ছে লেপ তৈরি কারিগরদের। তুলা পট্টির প্রতিটি দোকানে এখন ১০-১৫টি লেপ-তোষক তৈরি হচ্ছে। এদিকে শীতবস্ত্র বিক্রির দোকানেও ভিড় ও কেনাকাটা জমে উঠতে শুরু করেছে।

একাধিক লেপ-তোষক দোকান মালিকরা জানান, বিগত বছরের তুলনায় এবার তুলার দাম বেশি। শিমুল তুলার কেজি গত বছর ছিল ৩২০ টাকা, এবার কেজি ৪০০ টাকা। লেপের কাপড় গত বছর মিটার বিক্রি হতো ৮০ টাকা, এবার ১১০ টাকা। এছাড়া ৪-৫ হাত মাপের তৈরি লেপ ১টি গত বছর বিক্রি হয়েছে ১২৫০ থেকে ১৪৫০ টাকা এবার ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা। একই মাপের তোষক গত বছর ছিল ১২০০-থেকে ১২৫০ টাকা, এবার ১৮০০- থেকে ২০০০ টাকা। এছাড়া নিম্নমানের বিভিন্ন তুলা কেজিপ্রতি গড়ে ১০-১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া গত বছরের তুলনায় লেপ তৈরির মজুরিও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে কারিগররা। এতে নিম্নআয়ের লোকজনরা ভোগান্তিতে পড়েছ।

উপজেলার নতুন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ধুনরিরা লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানে লেপ-তোষক তৈরিতে ভীষণ ব্যন্ত পার করছেন। তাঁরা জানান, সারা বছর তেমন কাজ থাকে না। তাই শীত মৌসুমে লেপ-তোষক তৈরি করে উপার্জিত অর্থ দিয়েই বছরের পুরোটা সময় পার করেন।

পার্স্ববতীর একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, শীত মৌসুম ছাড়া বছরের অন্য সময় প্রতি মাসে দু-একটি লেপ বিয়ে উপলক্ষে বিক্রি করা যায়, যা দিয়ে সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে পড়ে। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে শীত মৌসুমের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়।

(এমআরএস/এএস/অক্টোবর ২৭, ২০১৪)