সংগ্রামী বন্ধুগণ,

দয়া করে আপনারা কেউ হাসবেন না!

হাসার উপর অতিরিক্ত ট্যাক্স ধার্য করা হয়েছে

তা নয়। কিন্তু আপনাদের হাসিতে কর্তাব্যাক্তিদের

গা জ্বালা করে। আবার আপনাদের দাবীতে

ওনাদের শিশুসুলভ চেহারায় নেকরের হাসি

আপনারা ভীত হোন, ভয় পান

কিন্তু মুখকালো করে বসে থাকবেন না।

স্বাভাবিক থাকুন।এমনটাই ওনার চান।

 

সংগ্রামী সাথীগণ,

প্রানোচ্ছ্বল কোন চুটকী পড়ে হাসবেন না

প্রয়োজনে চুটকী পড়া ছেড়ে দেন

কেউ শোনাতে চাইলে

দেখবেন, আবার যেন তাঁর সাথে ঝগড়া না করে বসেন

সব সময় বুকপকেটে গোলাপের বদলে

রেখে দিবেন কানের ফুটো সমান দু'টুকরো কার্পাস তুলো।

আপনাদের হাসির দমক কান ফাটা আর্তনাদ শোনাবে

ওনাদের কাছে। আপনারা বলুন আপনারা কী তা চান?

প্রিয় বন্ধুগণ,

এই যে দেখছেন

প্রতিদিন সহস্রাধিক লোক মরছে

দেখুন, কতো স্বাভাবিকভাবে জনগণ তা মেনে নিচ্ছে

ফোঁটা কয় চোখের জল ফেলে সামলে নিচ্ছে নিজেদের!

নিজেদের পাথর বানিয়ে নিন।

ওনাদের ইশারায় আপত্তি না করে নাচুন

দেখবেন অসুখের পায়রা সুখের পায়রা হয়ে

উড়ে বেড়াবে নীলাকাশে সবুজের বনে।

প্রিয় কমরেডগণ,

কাঁটা তারের বেড়ার ওপাশে থাকে

ওনাদের (কর্তাব্যক্তিদের) প্রাণপ্রিয় সখিগণ।

ওনাদের বন্ধুরা বন্দুকের ব্যবহার করে

আমি আপনি বা আমাদের করোটি যাচাই করতে

যদি বা তাদের পরীক্ষায় আমার আপনার বলী হয়

তবে সে দোষ তাঁদের নয়।

বরং সে দোষ আপনার বা আমার

আমাদের করোটি কেন বুলেট প্রুফ নয়।

প্রিয় সহোদরগণ,

সেদিন ঢাকা গ্যালারীতে

আমি আর আমার কবি বন্ধু আশরাফ দেখলাম

ছেলেবেলায় খেলা ''কানামাছি''র অপূ্র্ব চিত্র প্রদর্শনী।

আপনারা আবার ভুল করে একে

আদালত পাড়ার অন্ধনারীর স্ট্যাচুর সাথে গলিয়ে ফেলবেন না যেন!

জানেন তো কালোপট্টি পড়ে

আমরা খেলার সময় যাকে তাকে জড়িয়ে ধরতাম

জড়িয়ে ধরতাম অচেনাজনকে, যে আমাদের খেলার সঙ্গী নয়।

প্রিয় বন্ধুগণ,

ধরুণ আপনাদের মধ্যে কেউ মৃগের চামড়ায় বসার ঘর

সাজাতে চান কিছুটা ব্যাতিক্রমভাবে।

ভুলেও এ সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন না।

জানেন তো পৃথিবীতে মানুষের চেয়ে হরীণের সংখ্যা কম।

আপনার একটি বুলেট যদি খরচ হয়

মৃগের পাঁজরে তবে ধরণীশ্বরের আদালত খেপে উঠবে

ওনার অব্যর্থ কলমে

দু'দশ বছরের স্বশ্রম কারাদন্ড অথবা...

প্রিয় বন্ধুগণ,

আপনারা সংযম শিখুন

এই যে মৃগ প্রাণ আর আমার আপনার

জীবনের মূল্যের হিসেব কষে একে জটিল বানাবেন না।

আপনারা সামান্য কানামছি খেলা ভেবে নেন

মিছে মিছি একে কাঁটা তাড়ের বেড়া

মৃত্যু আদালত পাড়া এসব না ভেবে

আমাদের কর্তাদের খুশিকে নিজেদের খুশি বানিয়ে নিন

দেখবেন আমরা সুখে আছি।