সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : সুন্দরবনের বন্যপ্রানীসহ মাছের প্রজনন ও বংশ বিস্তার নির্বিঘ্ন করতে পর্যটকসহ বনজীবীদের সুন্দরবনে প্রবেশে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে (১ জুন) ৪ ফিশিং ট্রলার, ছোট ফাঁসের ১২টি নিষিদ্ধ জালসহ ২৪ জেলে আটক করেছে বন বিভাগ। বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ওয়ার্ল্ড হ্যরিটেজ সাইড কটকা অভয়ারন্যের ভিতরে খাল ও নদীতে শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. মাহবুব হাসানের নের্তৃত্বে বনরক্ষীরা অভিযান চালিয়ে ফিশিং ট্রলারসহ এসব জেলেদের আটক করে। আটক এসব জেরেদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সুন্দরবন বিভাগ। 

সুন্দরবনে অবৈধ অনুপ্রেবেশকারী আটক জেলেরা হচ্ছেন, ছগির হাওলাদার, ফয়সার হাওলাদার, ইসমাইল গাজী, সেন্টু সাজ্জাল, আ. রহিম তপু, মো. রাশিব ফকির, রফিক ফকির, শাহাদত হাাওলাদার, আল আমিন জোমাদ্দার, ইলিয়াস সরদার, মাসুম খান, মো. আল আমিন জোমাদ্দার, জুয়েল শেখ, সুমন হাওলাদার, সোহরাব মোল্লা, মো. রফিক পেদা, জাহাঙ্গীর খান, জয়নাল হাওলাদার, মো. জালাল হাওলাদার, মো. মুসা মাদবর, মো. হাসান গাজী, আল আমিন আকন, মো. আবু হানিফ হাওলাদার ও মো. আব্দুর রহিম হাওলাদার বাচ্চু। এসব জেলেদের সবার বাড়ী বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. মাহবুব হাসান জানান, বৃহস্পতিবার (১ জুন) থেকে সুন্দরবনের বন্যপ্রানীসহ মাছের প্রজনন ও বংশ বিস্তার নির্বিঘ্ন করতে পর্যটকসহ বনজীবীদের সুন্দরবনে প্রবেশে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার জারি করেছে বন বিভাগ। এই সময়ে মাছসহ সুন্দরবনের সম্পদ আহরণে সব ধরনের পাশ-পারমিট বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার ভোরে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা থেকে ৪টি ফিশিং ট্রলারে করে ২৪ জেলে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ওয়ার্ল্ড হ্যরিটেজ সাইড কটকা অভয়ারন্যের খাল ও নদীতে অবৈধ অনুপ্রেবেশ করে। এসব জেলেরা ছোট ফাঁসের ১২টি নিষিদ্ধ জাল দিয়ে চিংড়ি আহরণের চেষ্টা কালে তাদের আটক করা হয়। আটক এসব জেলেদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা হয়েছে। নিষিদ্ধ সময়ের মধ্যে যাতে কেউ বনে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান এই বন কর্মকর্তা।

(এস/এসপি/জুন ০১, ২০২৩)