ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : প্রিয় ও পরিচিত ফল গুলির মধ্যে শসা সব থেকে জনপ্রিয়। বছরের সবসময় বাজারে শসা পাওয়া যায়। শসার কার্যকারিতা অনেক। ডাক্তারেরা শরীরের বিভিন্ন উপকারের জন্য শসা খেতে বলেন। শরীরের জলশূন্যতা প্রতিরোধ, কিডনির পাথর, কোলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণ, ওজন হ্রাস সহ একাধিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে শসা।

ডাঃ বাধন বলেন এর মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন বি, থিয়ামিন (বি১), রাইবোফ্লাবিন (বি২), নিয়াসিন (বি৪) সহ একাধিক উপাদান আমাদের শরীরের খেয়াল রাখে। কিন্তু বাজার চলতি শসা নয় বরং নিজের বাড়িতে চাষ করা শসা খেতে বেশি উপযোগী।

শসা চাষের পদ্ধতি সর্ম্পকে উপজেলা কৃষিবিদ কৃষিকমকর্তা ফাতেমা কাউসার মিশু বলেন, সিমেন্টের বস্তা নিয়ে প্রথমেই তার মধ্যে পরিমান মতো উপযোগী মাটি ভরে নিতে হবে। শসা চাষের জন্য দোয়াশ মাটি ও গোবর সার মিশিয়ে এই শসা গাছের মাটি মিহি তৈরী করে নিতে হবে। মাটিকে ভালো করে ভিজিয়ে নিয়ে বাজার থেকে কিনে আনা উন্নতমানের শসার বীজ গুলি পুঁতে দিতে হবে। বীজগুলি যেন মাটির গভীরে থাকে সেই ব্যাপারটি লক্ষ্য রাখতে হবে।

সাত থেকে আট দিন পরেই শসার বীজ থেকে চারা বেরিয়ে আসবে চারা বেরোনোর ১৫-২০ পর্যন্ত সূর্যের আলো, পানি ও মাটি খুব ভালো করে দিতে হবে। কারণ এই সময়েই গাছের দরকার উপযুক্ত খাদ্য ও বাতাসের। প্রয়োজনীয় পরিমান জৈব সার। বাজার থেকে জৈব সার কিনে আনবেন যার মধ্যে থাকবে জিঙ্ক, কপার, সালফেট, অ্যামনিয়া, সীসা, ফসফরাস সহ আরও প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান। গাছ বড় হয়ে গেলে মাচার মধ্যে সুতো ও বাঁশের সাহায্যে সম্পূর্ণ গাছটা বেঁধে দিন। শসা গাছ বেশি লতালে খুব ভালো হয়।

প্রায় ৫০ দিন পরেই দেখবেন এই গাছ ভর্তি শসা এসেছে। তারপরে আস্তে আস্তে সেই শসা গাছ থেকে ছিঁড়ে বাজারেও বিক্রি করতে পারেন। আবার পরিবারের চাহিদাও মিটাতে পারেন।

(এসআইআর/এএস/জুন ০২, ২০২৩)