ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদরের আংশিক) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান ও বর্তমান সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম আনার বিএনপির প্রোডাক্ট বলে মন্তব্য করেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিদ্দিক। তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরপর দুইবার নৌকা প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

সম্প্রতি কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ও স্থানীয় এক যুবকের কথোপকথনের ৫ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

অডিও বক্তব্যে শোনা গেছে, অমিত শিকদার নামের ওই যুবক নিজেকে ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিনিধি বলে পরিচয় দিয়েছেন। এসময় ওই যুবক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিদ্দিক কাছে উপজেলা পরিষদের কর্মচারী না হয়েও সরকারি বাসভবনে দীর্ঘ ৯ বছর সুব্রত নন্দি ও মিতা বিশ্বাসের বসবাস সম্পর্কে জানতে চান। এর একপর্যায়ে ওই যুবক চেয়ারম্যানকে বলেন, সুব্রত নন্দি বিএনপি করতো ও ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিল।

এ সময় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিদ্দিক বলেন, এক সময় তো মান্নান সাহেবও বিএনপিতে ছিল, আনার সাহেব বিএনপিতে ছিল। এরা সবাই তো বিএনপির প্রোডাক্ট। এসব তো শেখ হাসিনা বৈধ করেছে। এ সময় ওই যুবক চেয়ারম্যানকে বলেন, সুব্রত নন্দিকে বৈধ কে করছে? আপনি না এমপি সাহেব। চেয়ারম্যান তার উত্তরে বলেন, এমপি তো তার বন্ধু। অমিত শিকদার বলেন, সুব্রত নন্দি এমপির ৩/৪ বছরের ছোট। এরপর ওই যুবক বলেন, সুব্রত নন্দি ও মিতা বিশ্বাসের উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে থাকার বন্দোবস্ত এমপি সাহেবের সুপারিশ আছে এটা আপনার কথায় পরিষ্কার হলাম? উত্তরে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিদ্দিক বলেন, সেটা তো সত্যি। এমপি সাহেব তার বন্ধু মানুষ। একপর্যায়ে ওই যুবককে অফিসে এসে চা খাওয়ার দাওয়াত দেন চেয়ারম্যান।

অমিত শিকদার জানান, তিনি ভোরের চেতনা পত্রিকার কালীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি। উপজেলা পরিষদের কর্মচারী না হয়েও এক দম্পতির বসবাস সম্পর্কে বক্তব্য জানতে চান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিদ্দিক কাছে। মে মাসের ৩০ তারিখে কথা হয় চেয়ারম্যানের সাথে।

এ ব্যাপারে জানতে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিদ্দিক এর মুঠোফোনে রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৩৯ মিনিটে ফোন করেন এ প্রতিবেদক। তিনি সাংবাদিক পরিচয় জানার পর বলেন, আপনি আমার সামনে আসেন বা অফিসে আসেন তারপর বলবানে বলে ফোন কেটে দেন।

(একে/এএস/জুন ০৫, ২০২৩)