বিশ্বজিৎ সিংহ রায়, মহম্মদপুর : মাগুরা মহম্মদপুরে চেক জালিয়াতির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে বোনের সংবাদ সম্মেলন। মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের কালিশংকরপুর গ্রামের মৃত মান্নান মোল্লার ছেলে আব্দুল করিম মোল্যার নামে আপন মামা একই ইউনিয়নের মন্ডলগাতী গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ এর করা চেক জালিয়াতির মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী  রুবিয়া বেগম নামের এক নারী।

বুধবার সকালে প্রেসক্লাব মহম্মদপুরে উপস্থিত হয়ে মিথ্যা মামলায় ছেলেকে হয়রানির প্রতিবাদে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রুবিয়া বেগম। এবং তিনি তার বক্তব্যে বলেন বনগ্রাম ডাঙ্গাপাড়া বাজারে আমার ভাইয়ের টিভি ফ্রিজের দোকানে মাসিক দশ হাজার টাকা বেতন হারে মৌখিক চুক্তিতে ছেলে করিম মোল্যাকে চাকরি দেন। করিমের মাসিক বেতনের আট হাজার টাকা করে জমা রাখতেন মামা শহিদুল ইসলামের কাছে। তিন বছর পরে করিম মোল্যা তার মামার কাছে গচ্ছিত রাখা বেতনের দুই লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা এবং নগদ ৭০ হাজার টাকাসহ মোট তিন লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা ফেরত চান এবং চাকরি করবেননা বলে মামাকে জানান। এতে মামা ক্ষিপ্ত হয়ে গচ্ছিত টাকা অস্বীকার করে আব্দুল করিমকে তাড়িয়ে দেয়। তিনদিন পরে করিম মামার কাছে তার পাওনা টাকা চাইতে গেলে মামা শহিদুল ইসলাম স্থানীয় গুন্ডা বাহিনী দিয়ে করিমকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক চাপ প্রয়োগ করে ছয়টি সাদা স্ট্যাম্প ও কৃষি ব্যাংকের দুইটি ফাঁকা চেকে জোর পূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। পরে সেই স্ট্যাম্প ও চেকের পরিপ্রেক্ষিতে আব্দুল করিমের নামে নড়াইল কোর্টে ২০ লক্ষ টাকার চেক জালিয়াতির মিথ্যা মামলা দেন। এতে আমার ছেলে আব্দুল করিম ওয়ারেন্ট ভূক্ত ফেরারি আসামি হয়ে পালিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন। মিথ্যা মামলার সঠিক তদন্ত করে নড়াইল ও মহম্মদপুর থানা পুলিশের কাছে আামার ছেলে ও তার ছেলে মেয়ে স্ত্রী পরিবারকে বাঁচাতে সাহায্য কামনা করছেন তিনি।

(বিএসআর/এএস/জুন ০৭, ২০২৩)