গৌরীপুর প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটী ইউনিয়নের পাছার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ফিসের সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিদ্যালয়ের ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে পরীক্ষার ফিসের সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ক্ষুব্দ অভিভাবকরা জানান, শিক্ষার্থীদেরকে নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এ টাকা আদায় করা হয়েছে। কাউকে কোনো ছাড় দেয় নাই।

৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সানিমুল ইসলাম, ফাহিম ইসলাম সিয়াম, রেদোয়ান আহমেদ জনি ও মাসুদ মিয়া জানান, তাদের প্রত্যেককে উন্নয়ন ফিস ৫শ টাকা, সেশন চার্জ ৫শ টাকা, বেতন ৬শ টাকা, পরীক্ষার ফিস ৪শ টাকা ও আইসিটি বিভাগের চার্জ ৫শ টাকা মোট ২হাজার ৫শ টাকা করে দিতে হয়েছে। আরেক শিক্ষার্থী জানান, দু’চারজন এখন কিছু টাকা বাকী রেখে প্রবেশপত্র নিতে পারলেও এটা পরে দিয়ে দিতে হবে। এ বিদ্যালয়ে কাউকে মওকুফ করা হয় না।

৮ম শ্রেণির অভিভাবক জানান, আমি শ্রেণি শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করেছি, তারপরও টাকা কমানো হয় নাই। শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে আইসিটি খাতে ৫শ ও উন্নয়ন খাতে ৫শসহ প্রথম সাময়িক পরীক্ষার ফিসের সঙ্গে অতিরিক্ত ফিস গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ৮ম শ্রেণির শ্রেণি শিক্ষক মো. ফারুক আহমদ।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আরশাদুল হক জানান, সরকারি প্রজ্ঞাপনে ৩হাজার টাকা উন্নয়ন ফি নেয়ার বিধান আছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে আমরা বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য ৫শ টাকা ও আইসিটি খাতে ৫শ টাকা নিচ্ছি। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সহনাটী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মান্নান জানান, আমি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে পরে জানাবো।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, আইসিটি খাতে অর্থ আদায়সহ যেকোনো অতিরিক্ত ফিস গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এস/এসপি/জুন ০৮, ২০২৩)