মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : ভোরের আলো ফুটতেই অন্যান্য দিনের মতো ভ্যাবসা গরম আর তীব্র রোদে মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে জনজীবনে তৈরি হয়েছে চরম অস্বস্থি। টানা লোডশেডিং আর গরমের তীব্রতায় অবস্থা এতোটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে সরকার এরই মধ্যে পুরো দেশ জুড়ে বাধ্য হয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছেন। জনজীবনে স্বস্থির বদলে সৃষ্টি হয়েছে চরম এক অস্বস্থিকর পরিবেশ। অনাবৃষ্টির কারণে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের ফসলের মাঠ। রোদ আর গরমের তীব্রতায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তাই বৃষ্টির আশায় নামাজ আর দোয়ায় শামিল হয়ে আল্লাহর দরবারে সালাতুল ইস্তেখারার নামাজ আদায়ে সকাল সাড়ে ৮টায় মৌলভীবাজার শহরে জড়ো হন মুসল্লীরা।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকালে মৌলভীবাজার পৌর শহরের শান্তিবাগ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণের মনু নদীর পাড়ে পৌরসভার নির্মাণাধীন ওয়াকওয়েতে জড়ো হওয়া মুসল্লীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় শেষে আকাশ পানে আল্লাহর দরবারে অঝোরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। হৃদয়গ্রাহী এই দৃশ্যের ঠিক আড়াই ঘন্টার পর অর্থাৎ দুপুর গড়াতেই পুরো জেলা জুড়ে নামে স্বস্থির বৃষ্টি। উদাও হয়ে যায় রোদ। মুষলধারে বৃষ্টি না হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাল্কা বাতাস আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

মৌলভীবাজারের দারুল উলুম মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম কালাপুরী বলেন, অনাবৃষ্টির জন্য হাদিস শরিফে বর্ণিত অনুযায়ী মাঠে দুই রাকাত ইস্তিখারার নামাজ পড়ার বিধান রয়েছে। এটি সহীহ হাদিস বুখারী শরিফসহ বেশ কয়েকটি প্রসিদ্ধ হাদিসের কিতাবে উল্লেখ রয়েছে। তবে এই বিশেষ ইবাদতটি লোক দেখানোর জন্য নয়, সাদামাটা ভাবে যেতে হবে এই নামাজে।

এদিকে কতকালের চেয়ে আজ বৃহস্পতিবার দিনের তামাপাত্রা কিছুটা কম। তীব্র তাপদাহ শেষে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি নামায় জেলা জুড়ে চাবাগান আর প্রাণ-প্রকৃতিতে সৃষ্টি হয়েছে সজিবতা। মুহুর্তের জন্য জনজীবন ফিরে পেয়েছে স্বস্থি।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আনিসুল ইসলামের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আজকের দিনের তাপমাত্রা রয়েছে ৩৫.০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

(একে/এসপি/জুন ০৮, ২০২৩)