স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারীদের দেওয়া হয় বিশেষ ডিজাইনের মাচাং ঘর। তবে এবার মাচাং ঘরের পরিবর্তে পাকা ঘর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে সমতল ও পাহাড়- উভয় এলাকার জনগোষ্ঠী পেতে যাচ্ছে পাকা ঘর। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন করা হবে। পাশাপাশি আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে উপকারভোগীর দারিদ্র্য বিমোচন এবং তাদের ঋণ প্রদান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহের সক্ষম করে গড়ে তোলা হবে। প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছে একনেক।

পরিকল্পনা কমিশন জানায়, মূল প্রকল্পটি ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত ছিল। তবে উপকারভোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ধাপে ধাপে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ নতুন করে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

মূল অনুমোদিত প্রকল্পের ব্যয় ছিল এক হাজার ১৬৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। পঞ্চম সংশোধনীতে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭৯৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

পরিকল্পনা কমিশন জানায়, প্রকল্পের অধীনে ৩ লাখ ৬ হাজার ১১৩টি একক ঘর, ৩ হাজার ৯৭৬টি পাকা ব্যারাক, চরাঞ্চলে ৩ হাজার ৭৭১টি সিআইশিটের ব্যারাক, দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ৩ হাজার ২২২টি সেমিপাকা ব্যারাক নির্মাণ করা হবে। এছাড়া এক হাজার ১৫৫টি কমিউনিটি সেন্টার, ২০টি টং ও ৫৮০টি বিশেষ ডিজাইনের ঘর এবং ৭০২টি ঘাটলা, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, বক্স কালভার্ট, পাকা ড্রেন ও স্লোপ প্রোটেকশন নির্মাণ করা হবে।

৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পটি ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আবাসন সুবিধা নিশ্চিত ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। এর মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে প্রকল্পটি।

মূলত এই প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে গৃহসহ অন্য সুযোগ সুবিধা সৃষ্টির মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। এছাড়া, আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে উপকারভোগীর দারিদ্র্য বিমোচন করা এবং তাদের ঋণ প্রদান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহের সক্ষম করে গড়ে তোলায় এ প্রকল্প সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। প্রকল্পের অবশিষ্ট কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার লক্ষ্যে প্রকল্পের সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদনে করেছে পরিকল্পনা কমিশন।

(ওএস/এসপি/জুন ০৯, ২০২৩)