বিশ্বজিৎ সিংহ  রায়, মহম্মদপুর : মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে লেবু বাগান করে লাভবান হয়েছেন মো. রিয়াজুল ইসলাম নামের এক কলেজ ছাত্র। সে মহম্মদপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মৃত রঈফ বিশ্বাসের ছেলে। উপজেলা সদরের  আমিনুর রহমান ডিগ্রি কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স অধ্যায়নরত রয়েছেন।

লেবু চাষী মো. রিয়াজুল ইসলাম জানান, ২ বছর পূর্বে তিনি এই লেবুর বাগান টি করেছেন। ইউটিউব দেখে মনে স্বপ্ন জাগে নিজ উদ্যোগে একটি লেবু বাগান করার। সেই থেকেই লেবু বাগান করার যাত্রা শুরু করেন তিনি। ৪৫ শতক জমিতে বর্তমানে এই লেবুর বাগানে ৫২৬ টি লেবু গাছ রয়েছে। বেশিরভাগ গাছে ধরন্ত অবস্থায় থোকা, থোকা লেবু দেখা যায়। ১০ বছরের জন্য লিজকৃত জমি প্রতি বছরে ২০ হাজার টাকায় গ্রামের এক মালিকের নিকট থেকে লেবু বাগানের জমিটি লিজনেন মোঃ রিয়াজুল ইসলাম। তিনি অধিক ফলনের আশায় বারোমাসি চায়না -৩ সিডলেস লেবুর চারা গোপালগঞ্জ থেকে প্রতিপিচ লেবুর চারা ৫০ টাকা দরে ক্রয় করে এনে নিজ বাড়ির পাশে লেবু বাগিচা করেন। প্রতি পিচ লেবু বাগিচা থেকে পাইকারি বিক্রয় হচ্ছে বাগান থেকে ২টাকা ৫০পয়সা দরে। স্থানীয় হাটবাজারে লেবুর চাহিদা থাকায় হাটবাজারে বিক্রয় করেন তিনি। বর্তমানে লেবু বাগিচার টির নাম দিয়েছেন মাশাআল্লাহ লেবু বাগান। এখানে আরো পাওয়া যাচ্ছে উন্নত মানের লেবুর গুটি কলমের চারা। বাণিজ্যিকভাবে লেবুর চারা সে বিক্রয় করে থাকেন প্রতি পিচ প্রায় ৫০ টাকা করে।

মোঃ রিয়াজুল ইসলাম আরও জানান, প্রতি সপ্তাহে ৫ হাজার টাকার লেবু বাগান থেকে তুলে তিনি বিক্রয় করে থাকেন ক্রেতাদের কাছে। লেবু চাষে তেমন কোন খরচ নেই, বলে মনে করেন বাগান মালিক রিয়াজুল। লেবু চাষ অতি লাভ জনক হওয়ায় রিয়াজুলের দেখাদেখি ওই গ্রামের তৈয়েবুর রহমান ও রাসেল খান নিজ গ্রামে লেবু বাগান তৈরী করেছেন।

এ বিষয়ে মোঃ রিয়াজুল ইসলাম জানান, সরকারি সহযোগিতা পেলে এর থেকে বড় লেবু বাগান ও ভাল মানের একজন উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।

(বিএস/এসপি/জুন ১১, ২০২৩)