গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ি গ্রামে সংঘটিত মরিয়ম বেগম (৭০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। খুনের ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজন বুইদ্যা গতকাল সোমবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ আজ মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন।

নবীনগর থানার ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ার আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এ প্রতিবেদককে বলেন, 'মরিয়ম বেগম হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজন ইউসুফ মিয়া ওরফে বুইদ্যা (৩৪) সোমবার আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে দোষ স্বীকার করে বলেছে, সে (বুইদ্যা) মূলত চুরির উদ্যেশ্যেই শনিবার মধ্যরাতে ওই বৃদ্ধার ঘরের পেছনের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেছিল। এরপর সে যখন ঘরের স্টীলের আলমারী ভাঙ্গছিলো, তখন টের পেয়ে যান মরিয়ম বেগম। সেসময় ঘুম থেকে উঠে চোর বুইদ্যাকে ঝাপটে ধরেন মরিয়ম। সেসময় বুইদ্যা তার হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়ে বৃদ্ধার মাথায় সজোরে আঘাত করলে, বৃদ্ধা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।'

নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম বলেন, 'গতকাল আমি বলেছিলাম, সহসাই হত্যার রহস্য উদঘাটিত হবে। কারণ, এটি পরিকল্পিত কোন হত্যাকান্ড ছিলনা এবং বুইদ্যার (চোর) সঙ্গে অন্য কোন সঙ্গীও ছিলনা। মূলত চুরির উদ্যেশেই ঘরে ঢুকার পর, বৃদ্ধা টের পেয়ে যাওয়ায়, চোরের হাতে বৃদ্ধা নির্মমভাবে নিহত হন।'

প্রসঙ্গত, গত রবিবার দুপুরে কড়ইবাড়ি গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় মৃত মিলন মিয়ার স্ত্রী মরিয়ম বেগমের রক্তাক্ত মরদেহ তাঁর ঘর থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সন্দেহজনক ভাবে বুইদ্যাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার দৈনিক কাংলা ৭১ পত্রিকায় 'নবীনগরের এক নারীকে হত্যা, গ্রেপ্তার ১' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

(জিডি/এসপি/জুন ২০, ২০২৩)