সাজিরুল ইসলাম সঞ্চয়, সিরাজগঞ্জ : জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার একই সম্পত্তি চারজনের কাছে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে জুয়েল রানা নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। প্রতারনার অভিনব ফাঁদ পেতে এই প্রতারক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অনেকের। স্থানীয় ইউনিয়ন উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশে এমন জালিয়াতি করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। 

জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত জুয়েল রানা সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের জুয়ালভাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দলিল সূত্রে মো: জুয়েল রানা জেলার কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট মৌজার২৫৩৮ দাগের ১৪৩৩ খতিয়ানের ২.৪০ শতাংশ জমি আবু ছাইদ গং ও মর্জিনা খাতুনের নিকট থেকে ০.৩৭ শতক জমি প্রাপ্ত হন। ২০২১ সালের ১৪’ই জুন কামারখন্দ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে সম্পন্ন হওয়া মোট ২.৭৭ শতক জমি রেজিস্ট্রি নং-২৩৩৬। এর কিছুদিন পর জুয়েল রানা তার মা ও ভাইয়ের নিকট থেকে একই দাগের ১৯৮০ নং খতিয়ানে আরো ০.৩০ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে নেন। ফলে তার মোট সম্পত্তির পরিমান দারায় ৩.০৭ শতক। এই জমিগুলো লিখে নিতে ওয়ারিশান সনদে ওয়ারিশের নাম বাদ দেয়াসহ নানা জাল জালিয়াতির আশ্রয় নেন জুয়েল।

জমির মালিক হওয়ার পরই মূল জালিয়াতি শুরু করে জুয়েল। প্রথমে শামিমুর রহমান নামে একজনের নিকট ৩.০৭ শতক জমির মধ্য হতে ২.৫২ শতক জমি বিক্রি করেন। এর এক সপ্তাহ পরেই এই ২.৫২ শতক ভূমি আবার জুয়েল তার স্ত্রী আমিনা খাতুনের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। এর কিছুদিন পর রহমতুল্লাহ খান নামে একজনের নিকট ৩.০৭ শতক জমি বিক্রি রেজিস্ট্রি করে দেন এই জালিয়াত। সবশেষ আবার একই জমি থেকে ২.৫২ শতক জমি রওশন ফিরোজ নামের এক ব্যাবসায়ির নিকট বিক্রি করেন জুয়েলের স্ত্রী। একই জমির এতগুলো দলিল সম্পন্ন হয়েছে কামারখন্দ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে।

এক জমি বারবার বিক্রি করার বিষয়ে জানতে প্রতারক জুয়েলের সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলেও সে কোন জবাব দেননি।

(এস/এসপি/জুন ২১, ২০২৩)