বিশেষ প্রতিনিধি, মাদারীপুর : মাদারীপুর শহরের ২নং শকুনি এলাকার সাবেক সেনা কর্মকর্তার বাড়িতে বুধবার (২১ জুন) সকালে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছুদিন ধরে শহরের মধ্যে দিনের বেলায় চুরি ঘটনা ঘটায় শহরবাসীর মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর শহরের ২ নং শকুনি এলাকার সাবেক সেনা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাধারণ শাখার অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিনের বাসায় দিনের বেলায় চুরি হয়েছে। জাহাঙ্গীর হোসেন বুধবার ভোরে পারিবারিক কাজে ঢাকা যান আর তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন প্রতিদিনের মধ্যে হাটার জন্য ভোর সারে ৫টায় বাসা থেকে বের হন। সারে ৬টায় বাসায় এসে দেখেন তার ঘরের স্টীলের আলমারি, সো-কেসসহ সব জিনিস এলোমেলো। চোর প্রথমে ঘরের ভেন্টিলেটার ভেঙ্গে ভেতরের প্রবেশ করে। পরে ঘরের মাঝখানের রুমের বাহিরের বের হবার একটি দরজার লক ভেঙ্গে ফেলে। এরপর তারা স্টীরের আলমারী ও সো-কেস থেকে প্রায় সাত ভর্তি স্বর্ণালংকার, ৩টি স্মার্ট ফোন, কোরবানীর জন্য রাখা দেড় লাখ টাকাসহ মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কোরবানী দেয়ার জন্য ঘরে প্রায় দেড় লাখ টাকা ছিলো। তাছাড়া আমার স্ত্রী ও আমার ছেলে বউ এর প্রায় সাত ভরি স্বণালংকার আলমারীতে ছিলো। চোররা তা নিয়ে গেছে। শহরের মধ্যে দিনের বেলায় এভাবে চুরির ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এই এলাকায় মাঝে মধ্যেই দিনের বেলায় চুরির ঘটনা ঘটলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। এই ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মাদারীপুর শহরের সচেতন নাগরিক মেহেদী হাসান বলেন, শহরের মধ্যে প্রায় দিনের বেলায় চুরির ঘটনা ঘটছে। কয়েকদিন আগে এনজিওতে চাকুরী করেন এক নারী কর্মকর্তার বাসায় সকাল ১০টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটেছে। খোজ নিলে আরো জানা যাবে প্রায় দিনই শহরের কোথাও না কোথাও দিনের বেলায় চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে করে শহরবাসীর মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। অজ্ঞাত কারণে এই ব্যাপারে পুলিশের ভুমিকা তেমন চোখে পড়ে না। আর এই চুরিগুলো সাধারণ স্থানীয় চোররা বা নেশাখোররাই করে থাকেন। তারা জানেন কার বাড়ি কখন খালী হচ্ছে। সেই সুযোগে চোররা চুরি করে থাকে। তাই পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবী জানাই, স্থানীয়ভাবে যারা চোর ও নেশাখোর আছেন, তাদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব তথ্য পেয়ে যাবে। সামনে ঈদ তাই শহরজুড়ে চোরদের উৎপাদও বেড়েছে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, শকুনি এলাকার চুরির ঘটনার খবর পাইনি। তবে এখন জানলাম, পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে দিবো।

(এএসএ/এসপি/জুন ২১, ২০২৩)