জকিগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি : জকিগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের পিপিএম আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী শাকেরা বেগম ২০০৬ সালে তদবির করে জকিগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসে ঝাড়ুদার হিসেবে নিয়োগ পান। কৃষি অফিসে নিয়োগ পেয়ে যোগদানের পর থেকেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত হয়েও মাস শেষে নিয়মিত বেতন নিচ্ছেন তিনি। এভাবেই ২০১২ সালে ঝাড়ুদার থেকে অফিস সহায়ক পদে পদন্নোতিও পান।

ঝাড়ুদার হিসেবে নিয়োগের পর তিনি আবার ঝাড়ুধারের দায়িত্ব পালনে জলিল নামের আরেক ব্যক্তি তার পক্ষ থেকে নিয়োগ দেন। আশপাশ অফিসের কর্মর্কতা কর্মচারি কেউই তাকে চিনেন না। উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা জানেন কৃষি অফিসে একজন মহিলা অফিস সহায়ক পদে রয়েছে কিন্তু তাকে দেখার ভাগ্য কারও হয়নি।

একটি সূত্র জানিয়েছে, শাকেরার স্বামী আব্দুস সাত্তার এই অফিসের পিপিএম হিসেবে কর্মরত থাকায় শাকেরার কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া লাগেনা। তার কাজকর্ম আব্দুস সাত্তার পালন করেন। শাকেরা সাংসারিক কাজ সম্পাদন করেন। মাস শেষে শুধু তার দায়িত্ব বেতন ভাতা তুলে আব্দুস সাত্তারের কাছে জমা করা। কৃষি অফিসে বর্তমানে জলিল নামের এক ব্যক্তি ঝাড়ুদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। তার নিয়োগ নিয়ে জানতে চাইলে জলিল জানায় সে শাকেরার বদলে দায়িত্ব পালন করে। তার নিয়োগদাতা শাকেরার স্বামী আব্দুস সাত্তার। উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ইকবাল মুন্সি জানিয়েছেন মাস শেষে শাকেরা নামের একজন মহিলা কৃষি অফিসের অফিস সহায়ক পদের বেতন ভাতা উত্তলন করেন। কিন্তু তাকে তিনি কর্মস্থলে দেখেন না।

পিপিএম আব্দুস সাত্তার এ ব্যাপারে বলেন, এটা আমাদের কর্তৃপক্ষের বিষয় আপনাদের জানার বিষয় নয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে এ ব্যাপারে যোগযোগ করতে চাইলে তিনি ছুটিতে আছেন বলে জানান অফিসের কর্মচারীরা। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে।

সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবু সাদ সরকার বলেন, আমি কৃষি অফিসের সহকারীর দায়িত্ব পালন করে আসছি। জানি একজন মহিলা এখানে দায়িত্বে আছেন কিন্তু তিনি মাঝে মধ্যে অফিসে আসেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিটন খীসা বলেন, এ ব্যাপারে তার কিছুই জানা নেই।

(এসপি/এএস/অক্টোবর ২৮, ২০১৪)