স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুর : ফরিদপুরের সদরপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেল এর বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, উপজেলার আকোটের চর ইউনিয়নের কৃষ্ণমঙ্গলের ডাঙ্গী (বটতলা) শতবর্ষী পুকুর ভরাট এবং গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ কাজ বন্ধে আদালত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

গত (২৯ মে ) হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ শুনানী শেষে এ আদেশ প্রদান করেন।

একই সাথে হাইকোর্টের পরবর্তী কোন আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত উক্ত পুকুর ভরাট ও গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেও আদেশ জারি করেন।

কিন্তু আদালতের পরবর্তী কোন আদেশের তোয়াক্কা না করেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান মাহসুদ রাসেল আশ্রয়ন পুনরায় প্রকল্পের স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে স্থানীয়রা জানান।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, গতকাল বুধবার (২১ জুন) আদালতে এব্যাপারে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য ছিল।

হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ ওই দিন এব্যাপারে আদালতের আংশিক শুনানি শেষে বন্ধের পর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

তিনি বলেন, আদালত যেহেতু গত ২৯ মে তারিখে প্রদত্ত স্থিতাবস্থা আদেশের কোন পরিবর্তিত আদেশ দেননি। বরং বন্ধের পর আদালত খুলে দিলে পরবর্তী শুনানি হবে বলে আদেশ দিয়েছেন।

এমতাবস্থায় পুনরায় কাজ আরম্ভ করা অবশ্যই আদালতের অবমাননা এবং আমরা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, গত ২৯ মে ওই স্থানে আশ্রয়ন প্রকল্প নির্মাণ কাজ বন্ধে আদালতের আমি কোন লিখিত আদেশ পাইনি।

বলা হয়েছিলো আপাতত স্তগিত রাখতে। আমরা স্তগিত রেখেছিলাম। আবার গতকালকে সরকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আদালতের লিখিত নিষেধাজ্ঞা নাই, সেহেতু কাজ করতে ওখানে অসুবিধা নাই মর্মে সরকারের পক্ষ থেকে হাইকোর্ট থেকে জানানো হয়েছে।

হাইকোর্ট থেকে জেলা প্রশাসক স্যারের মাধ্যমে জানানো হয়েছে এবং জেলা প্রশাসক স্যারের অনুমোদন সাপেক্ষে হাইকোর্টের রেফারেন্সে আমাদের সরকারের পক্ষে যে যেখানে আছে এটর্নি জেনারেল স্যারের অফিস, হেড অফিস থেকে বলার পরে আমরা কাজ করছি।

উল্লেখ্য, গত (২১ মে) মানবাধিকার সংগঠন ল' এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এর পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোঃ কাউছার শতবর্ষী পুকুর ভরাট ও গুচ্ছগ্রাম বন্ধে আদালতে রিট আবেদন করেন।

পরবর্তীতে গত (২৯ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ শুনানী শেষে পরবর্তী কোন আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত উক্ত পুকুর ভরাট ও গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে আদেশ জারি করেন

(ডিসি/এসপি/জুন ২২, ২০২৩)