সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ সরকারি তহবিল থেকে দেয়া ঈদ উপহার হিসেবে গৃহনির্মান সামগ্রী পেয়ে বৃদ্ধা অসহায় রেজিয়ার মুখে ফুটেছে প্রাণের হাসি। শুক্রবার সকালে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী জালাল নিজেই উপস্থিত হয়ে অসহায় রেজিয়ার বাড়িতে গৃহনির্মান সামগ্রী হিসেবে ২ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ ৬ হাজার টাকা পৌঁছে দেন। এর পর পরই শুরু হয়েছে অসহায় রেজিয়ার গৃহনির্মানের কাজ।

স্বামী ও সন্তান হারা সহায় সম্পদহীন রেজিয়ার কাচা দু’চালা টিনের ঘটরটি গত ১৫ জুন রাতে ঝড়ে লন্ডভন্ড করে ফেলে। এরপর অসহায় রেজিয়া ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে দুচোখে শুধু অন্ধকারই দেখছিলেন। ঈদের আগে ও ঈদে কি খাবেন, কোথায় থাকবেন এ নিয়ে তিনি করছিলেন বিলাপ।

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন মাধ্যমে জেনে গত ২০ জুন মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দুয়া উপজেলার ১১ নং চিরাং ইউনিয়নের সাগুলি উত্তরপাড়া গ্রামে ছুটে যান ইউএনও কাবেরী জালাল। এসময় তিনি সাথে নিয়ে যান চাল, ডাল, লবন, তেল, পেয়াজ সহ অন্তত দেড় মাসের খাদ্য সামগ্রী। তিনি সেদিন বৃদ্ধা রেজিয়ার হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়ে বলেছিলেন, ঈদের আগেই গৃহটি নির্মান করে দিবেন।

ইউএনও কাবেরী জালাল জানান, বিষয়টি মানবিক জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশকে জানানোর পর তিনি খুব দ্রুত সরকারি তহবিল থেকে রেজিয়ার নামে দুই বান্ডিল টিন ও নগদ ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। টিন ও টাকা পৌছে দিতেই শুক্রবার সকালে নিজেই গিয়েছিলাম সাগুলি গ্রামে রেজিয়ার বাড়িতে।

তিনি জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, যদি ওই টাকায় ঘরের কাজ শেষ না হয় তাহলে আমার ব্যক্তিগত বেতনের টাকা দিয়ে হলেও ঘরের কাজ শেষ করে দেব। টিন ও টাকা পেয়ে রেজিয়া খুব খুশি।

রেজিয়া তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আমি খুব চিন্তায় আছলাম, কই থাকবাম, ঘরডাতো ঝড়ে ভাইংগা ফালাইছে। অহন দুই বান টিন আর ৬ আজার টেহা ফাইয়া আমি খুব খুশি।

১১ নং চিরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল কবির খান বলেন, অসহায় রেজিয়া টিন আর টাকা পেয়ে খুব খুশি হয়েছেন। এজন্য আমি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

তিনি বলেন, ইউএনও কাবেরি জালাল বলেছেন, যদি ওই টাকায় ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ না হয় তা হলে তিনি তার বেতনের টাকা দিয়ে হলেও গৃহ নির্মান কাজ সমাপ্ত করে দেবেন।

(এসবিএস/এএস/জুন ২৩, ২০২৩)