স্টাফ রিপোর্টার : সাম্প্রতিক সময়ে ঋণ বিতরণ ও আমানত বেড়েছে নতুন ব্যাংকগুলোতে যদিও তাদের মধ্যে অনেকেই এখনও আমদানি-রফতানি ও রোমিট্যান্স কার্যক্রম শুরুই করতে পারেনি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য উপস্থাপনে জানা যায়, মার্চ পর্যন্ত নতুন ৯টি ব্যাংকে সামগ্রিকভাবে মোট আমানত দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা। আগের প্রান্তিক অর্থাৎ ডিসেম্বর শেষে তাদের আমানত ছিল ২ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা। আর মার্চ পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ হয়েছে। ডিসেম্বরে যা ২ হাজার ৫৩ কোটি টাকা ছিল। অবশ্য বেশিরভাগ ব্যাংক এখনও বৈদেশিক বাণিজ্য শুরু করতে পারেনি।

গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে ঋণ ও আমানতসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এসব ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিকে নিয়ে আজ বৈঠকে বসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কার্যক্রম শুরুর এক বছরে তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা এবং সামনের দিনে আরও ভালো করতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিতে এ বৈঠক ডাকা হয়েছে। বেশ আগেই এসব ব্যাংক কার্যক্রম শুরুর অনুমতি পেলেও গত বছরের এপ্রিলের শেষ দিক থেকে তারা পর্যায়ক্রমে কার্যক্রম শুরু করে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মার্চভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, এসব ব্যাংকের ঋণ আমানত অনুপাত কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত সীমার নিচে রয়েছে। এ সময় পর্যন্ত ইউনিয়ন ব্যাংক ১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা আমানতের বিপরীতে ১ হাজার ৬১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। আগের প্রান্তিক তথা ডিসেম্বর শেষে তারা ৬৫২ কোটি টাকা আমানতের বিপরীতে ৭৩১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছিল। এর মধ্যে অন্য ব্যাংক থেকে নেওয়া অর্থের পরিমাণ ছিল ৫৬৬ কোটি টাকা। এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ৮২১ কোটি টাকা আমানতের বিপরীতে ঋণ দিয়েছে ৬৮১ কোটি টাকা। ডিসেম্বরে ৪৯৮ কোটি টাকা আমানতের বিপরীতে ৩৭২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ হয়েছিল। সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক ৭৫৯ কোটি টাকা আমানতের বিপরীতে ঋণ বিতরণ করেছে ৪৪৭ কোটি টাকা। ডিসেম্বরে যা ৪৪৪ কোটি ও ৩০১ কোটি টাকা ছিল।

মেঘনা ব্যাংক ৪০০ কোটি টাকা আমানতের বিপরীতে মার্চ শেষে ২৫৩ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ হয়েছে। ডিসেম্বরে ২৬৭ কোটি টাকা আমানতের বিপরীতে ঋণ বিতরণ হয়েছিল ১৪৯ কোটি টাকা। মিডল্যান্ড ব্যাংকে আমানত রয়েছে ৪০৩ কোটি টাকা। ঋণ বিতরণ হয়েছে ২৮৩ কোটি টাকা। ডিসেম্বরে যা ২৯০ কোটি ও ১৮৩ কোটি টাকা ছিল। ফার্মারস ব্যাংক ২৪১ কোটি টাকা আমানতের বিপরীতে ১০২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। ডিসেম্বরে তাদের ১২৪ কোটি টাকা আমানতের বিপরীতে ঋণ ছিল ১১ কোটি টাকা। এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড ২৯১ কোটি টাকা আমানতের বিপরীতে ঋণ বিতরণ করেছে ১০৩ কোটি টাকা। আগের প্রান্তিকে যা ১৯৩ ও ৪৫ কোটি টাকা ছিল। মধুমতি ব্যাংক ২৮১ কোটি টাকা আমানতের বিপরীতে ৫৬ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। ডিসেম্বরে ১৬৮ কোটি টাকা আমানতের বিপরীতে ঋণ ছিল ৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর এনআরবি গ্গ্নোবাল ব্যাংক ২৩২ কোটি টাকা আমানতের বিপরীতে ঋণ দিয়েছে ৩৬১ কোটি টাকা। ডিসেম্বরে যা ৩৩ ও ২৫৮ কোটি টাকা ছিল।

(ওএস/এটি/এপ্রিল ৩০, ২০১৪)