নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাটে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে মানুষের চলাচলের জন্য প্রায় দেড়শো ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রশস্ত মাটির রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। এ সংস্কার কাজে এলাকার পাঁচজন যুবক সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত স্বেচ্ছাশ্রম দেন। এছাড়া একজন সমাজসেবী আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এ রাস্তা সংস্কারের ফলে এলাকার শত শত নারী,পুরুষ, শিশু ও বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা বেশ উপকৃত হয়েছেন।

জানা গেছে,উপজেলার ধামইরহাট-জয়পুরহাট সড়কের কোকিল মোড় থেকে একটি মাটির রাস্তা পূর্ব রঘুনাথপুর গ্রামের মধ্য দিয়ে পাগলদেওয়ান হয়ে জয়পুরহাট,পাঁচবিবি উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আসা যাওয়া করা হয়। এ পথ দিয়ে স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং পুর্ব রঘুনাথপুর গ্রামে অবস্থিত কমিউনিটি ক্লিনিকে অসহায় রোগিরা আসা যাওয়া করেন। কিন্তু বর্ষা মওসুমে বৃষ্টির পানির কারণে ওই গ্রামের হুরমত আলীর বাড়ী সংলগ্ন মাত্র দুইশ’ ফুট মাটির রাস্তা সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। রাস্তাটি বৃষ্টির পানির কারণে কাঁদায় পরিপূর্ণ হওয়ায় পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ ও সমজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মুসল্লিদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে এলাকায় সন্তান সৌদি প্রবাসী মো.মেহেদী হাসান রাস্তা সংস্কার কাজে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। ঈদের আগের দিন বুধবার সকালে পূর্ব রঘুনাথপুর গ্রামের পাঁচজন যুবক নিজেরা স্বেচ্ছায় রাস্তা সংস্কার কাজে ঝাপিড়ে পড়েন।

যুবকরা হলেন-আব্দুল মজিদ,আমজাদ হোসেন,শিলা মার্ডি,মাথিউস মার্ডি ও উজ্জল মার্ডি। এব্যাপারে আব্দুল মজিদ বলেন,আমরা পাঁচজন মিলে প্রায় দেড়শ’ ফুট দির্ঘ্য এবং ১২ ফুট প্রশস্ত মাটির রাস্তায় প্রায় ৩শ’ ভ্যান মাটি কাঁদার উপর বিছিয়ে দিই। এ কাজ শেষ করতে তাদেরকে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছে। বর্তমানে এলাকার সকল বয়সের মানুষ সহজে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে।

ধামইরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম বদিউল আলম বলেন, ঈদের আগে বিরতিহীনভাবে বৃষ্টি হওয়ায় ওই রাস্তাটি কর্দামাক্ত হয়ে পড়েছে। ঈদে সব কিছু বন্ধ থাকায় সংস্কার কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে পরিষদ খুললে অচিরেই ইটের খোয়া দিয়ে রাস্তাটি চলাচল উপযোগি করা হবে।

(বিএস/এসপি/জুলাই ০২, ২০২৩)