সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : কেন্দুয়া সাজিউড়া রাস্তাটি বেহাল দশার কারণে দিন দিনই যান চলাচলের ক্ষেত্রে বাড়ছে ভোগান্তি। উপজেলা সদর থেকে এ রাস্তাটিতে ছোট বড় খানা খন্দকে ভরে গেছে। বৃষ্টি হলেই উপজেলা পরিষদের গেইটের সংলগ্ন রাস্তায় হাটু পানি জমে ঢেউ খেলে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অবহেলার কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হচ্ছেনা। ফলে রাস্তাটিতে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। 

উপজেলা সদর থেকে সাজিউড়া হয়ে মামুদপুর পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার এই রাস্তায় প্রতিদিন শতশত যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ছোট বড় খানা খন্দকে ভরে যাওয়ায় সিএনজি ও অটো রিকসা প্রায় প্রতিদিনই দুুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। জীবনের ঝুকি নিয়ে যানবাহন চালাচ্ছেন চালকরা।

অটো রিকশা চালক উত্তম বলেন, পেটের দাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তায় গাড়ি চালাই। না হয় এ রাস্তায় গাড়ি চালানোর কোন যোগ্যই না। রিকসা চালক উছেন আলী বলেন, রিকসা চালিয়ে প্রতিদিন ডাল-চাল কিনি, এই রাস্তায় একদিন রিকসা চালাইলে শইলের বেদনায় দুই দিন বিছনায় শুয়া থাহন লাগে।

সাজিউড়া গ্রামের ইউপি সদস্য রহিম উদ্দিন বলেন, সাজিউড়া একটি বাজার আছে, তাম্বুলিপাড়ায় একটি ন্যাচারাল পার্ক আছে এবং মামুদপুরেও একটি বাজার আছে। এই তিন জায়গাতে প্রতিদিন শত শত মানুষের আনাগুনা হয়। যানবাহন চলে ১শর উপরে। কিন্তু রাস্তাটি ছোট বড় গর্তে ভরে গেছে। এখন যানবাহন চালাতে খুব কষ্ট হয় চালকদের। এই রাস্তাটি জরুরী ভাবে মেরামত না করলে আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে এই রাস্তা দিয়ে আর যানবাহন চালানো সম্ভব হবে না। এলাকাটি পিছিয়ে যাবে।

দিগদাইর গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞা সবুজ সোমবার বলেন, উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তায় হাটু পানি। এটাকি কারো চোখে পড়েনা। জনগণের এই দূর্ভোগ দূর করা দরকার। আপনারা এই বিষয়গুলো পত্রিকায় তুলে ধরুন তাহলেই কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাংবে।

চিরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল কবির খান বলেন, এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটিতে আলোচনা করেছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু রাস্তাটি সংস্কার এখনও না হওয়ায় জনগনের দুঃখ দূর্দশা বেড়েই চলছে।

কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল ইসলামের ভাষা, কিছুদিন আগে উপজেলা পরিষদের সামনে ভাঙা রাস্তায় চলাচলের সুবিধার জন্য কিছু ইট সুকরি ফেলা হয়েছিল, কিন্তু অনেক বেশি গাড়ি চলাচল করায় এবং পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় তা নষ্ট হয়ে গেছে। এটি স্থায়ী ভাবে সংস্কারের জন্য প্রক্রিয়া চলছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, রাস্তাটির অবস্থা খুবই সূচনীয় এটা আমরাও স্বীকার করি। এই রাস্তায় যান চলাচলও হয় অনেক বেশি। রাস্তাটিকে প্রসস্থ করার চিন্তায় সংস্কার কাজ পিছিয়ে গেছে। তবে চলতি অর্থবছরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য এক নম্বরে রাখা হয়েছে। কেন্দুয়া সাজিউড়া মোড় থেকে শুরু করে আধা কিলোমিটার রাস্তা ঢালাই হতে পারে আর বাকি রাস্তাটি মেনটেইন্সের আওতায় খুব তাড়াতাড়িই সংস্কার করা হবে। এর আগ পর্যন্ত কিছুটা কষ্ট করতেই হবে।

(এসবি/এসপি/জুলাই ০৩, ২০২৩)