শৈলকুপা প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনিয়ম নিয়ে দৈনিক বাংলা ৭১ সহ কয়কটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বেরিয়ে এসেছে আরো অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদ আল মামুনের ছত্রছায়ায় সরকারি সেবামুলক প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে করে ওই প্রতিষ্ঠানে সেবা গ্রহীতারা দিনের পর দিন হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। হয়রানী থেকে বাদ যাচ্ছেন না ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরাও। 

জানা গেছে, উপজেলাতে মাল্টিপারপাস হেলথ ভলেন্টিয়ার(এমএইচভি) পদে ২৬৫জন কর্মরত আছেন। এরা বেতন তুলতে গেলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদ আল মামুনকে জনপ্রতি ৩হাজার টাকা করে দিতে হয়। আউটসোর্সিংয়ে ১২ জন নিয়োগের সময় জনপ্রতি ১লাখ ৮০ থেকে ২লাখ ২৫হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে নিয়েছেন তিনি। জেলা শহরে নিজ নামে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন হাসপাতাল পরিচালনা করার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তরা প্রতিবাদ করলে তাদের শিকার হতে হয় ভয়াবহ পরিণতির। কয়েক বছর আগে সিভিল সার্জনকে পিটিয়ে আহত করে বহিস্কার হয়েছিলেন ডাঃ রাশেদ আল মামুন। নিজের পরিচালিত হাসপাতালে সরকারি বরাদ্দকৃত দামি ইনজেকশন ও ঔষধ নিজের মালিকানা ঝিনাইদহ শহরের আল-মামুন জেনারেল হাসপাতালে ব্যবহার করে থাকেন। সেকারনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগীরা সকাল-সন্ধ্যা কোন সময় ঔষধ পায়না।

জেলার সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধরা অনতিবিলম্বে দুর্নীতিগ্রস্থ এই স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দ্রুত অপসারণের দাবী জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ার(এমএইচভি)পদে কর্মরত অনেকেই জানান, প্রতি বছরে তাদের ৩৩হাজার টাকা বেতন দেওয়া হয়। তবে এবছর দেওয়া হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। জনপ্রতি ৩হাজার টাকা করে কেটে রাখা হয়েছে। এমনিতেই কম বেতন,তারপর আবার যদি কেটে রাখা হয় তবে এমন চাকরী না করাই ভাল।

এ বিষয়ে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদ আল মামুন জানান, এসবই মিথ্যা কথা। আমার প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে এগুলো বলা হচ্ছে। পদায়ন হচ্ছে খুব দ্রুতই এখান থেকে চলে যাব আমি।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ শুভ্রা রানী দেবনাথ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কেউ আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(এসআই/এসপি/জুলাই ০৬, ২০২৩)