মহিলা মেম্বারদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নারী উন্নয়ন ফোরামের সংলাপ
শেরপুর প্রতিনিধি : ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারদের পরিষদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তেমন সম্পৃক্ত করা হয়না। এলজিএসপি’র কোন কর্মকাণ্ডেই তাদের ডাকা হয়না, তাদেরকে বরাদ্দও দেওয়া হয়না। ইউনিয়ন পরিষদের কিছু কমিটিতে মহিলা মেম্বাররা সভাপতি হলেও তাদের কোন সিদ্ধান্তই সঠিকভাবে কার্যকর করা হয়না।
ইউপি চেয়ারম্যান এবং সাধারণ মেম্বাররা সবসময় মহিলা মেম্বারদের দাবিয়ে রাখেন। কোন কাজেই পাত্তা দিতে চাননা। এমনকি এসব কারণে বাল্য বিয়ে, যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মতো ঘটনায়ও অনেক ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অসহযোগিতার কারণে প্রতিকার কিংবা প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছেনা। যে কারণে পরিষদের কর্মকাণ্ডে মহিলা মেম্বররা ভূমিকা রাখতে পারেন না।
শেরপুরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে মহিলা মেম্বারদের এক সংলাপে সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারদের বক্তব্যে এমন কথাই ফুটে ওঠেছে। তবে ইউপি চেয়ারম্যানরা মহিলা মেম্বরদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, পরিষদের সভায় মহিলা মেম্বাররা ঠিকমতো হাজির হননা। ১২ জন মেম্বারের মধ্যে ৩ জন সংরক্ষিত মহিলা। সভায় ম্যাজরিটি যেদিকে যায়, সেভাবেই সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য তারা নীতিমালা পরিবর্তনের প্রয়োজনীতার কথা উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম (বিইউপিএফ) এবং মিউননিসিপ্যাল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ম্যাব) শেরপুর জেলা কমিটির সদস্যদের সাথে ২৯ অক্টোবর বুধবার মহিলা মেম্বারদের সংগঠন উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের এক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সুইস ডেভেলপমেন্ট এজেন্সী এসডিসির সহায়তায় প্রিপ ট্রাস্ট এ সংলাপের আয়োজন করে। জেলা পরিষদের ‘নিসর্গ’ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিইউপিএফ জেলা সভাপতি ভাতশালা ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর প্যানেল মেয়র কাজী মতিউর রহমান, কামারের চর ইউপি চেয়ারম্যান হাবীবুর রহমান হাবীব।
প্রিপ ট্রাস্টের সমন্বয়কারী সঞ্জিত সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিইউপিএফ এবং ম্যাব শেরপুর জেলা কমিটির সদস্য চেয়ারম্যানবৃন্দ, উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
(এইচবি/এএস/অক্টোবর ২৯, ২০১৪)