রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার ঘটনায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি গাজী শামীম (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা থাকায় তিনি এতদিন গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলেন।

রবিবার (৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের পুরাতন গরুহাটি থেকে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আচ্চাকান্দি গ্রামের গাজী কবির আলীর ছেলে।

সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডে ছাত্রলীগ নেতা গাজী শামীমকে নিয়ে এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হলো। তবে শামীম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন।

এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা জানান, গোয়েন্দা তথ্যে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পুরাতন গরুহাটি এলাকা থেকে গাজী শামীমকে গ্রেফতারের পর ডিবির হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জামালপুর ডিবির ওসি মো. আরমান আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদের সময় আসামিদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই এবং মামলার চলমান তদন্তের কারণে গাজী শামীম এতদিন নজরদারিতে ছিলেন।

জেলা পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ জানান, সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডে গাজী শামীম একজন সক্রিয় আসামি। হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌরসভার পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে তার ছেলেসহ একদল সন্ত্রাসী সাংবাদিক নাদিমের ওপর হামলা করা হয়। পরে স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ কয়েকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। রাত দেড়টার দিকে তাঁকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে মারা যান নাদিম।

এ ঘটনায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলায় দায়ের করেন নিহত নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম।

(আরআর/এএস/জুলাই ১০, ২০২৩)