বিশেষ প্রতিনিধি, মাদারীপুর : দক্ষিণ আফ্রিকায় চাঁদা না দেওয়ায় শামীম শিকদার নামের এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে ঐ দেশের সন্ত্রাসীরা।

সোমবার (১০ জুলাই) বাংলাদেশ সময় রাত ১২ দিকে আফ্রিকার জোহানসবার্গ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে নিহতের পরিবারের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই দেশ থেকে ছুটিতে বাড়িতে আসা নিহতের চাচাতো ভাই আবদুল জলিল শিকদার ও ঐ দেশে থাকা নিহতের শ্যালক প্রবাল হোসেন।

নিহত শামীম শিকদার (৪০) মাদারীপুরের শিবচর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ঠেঙ্গামারা গ্রামের মো. আনিছ শিকদারের ছেলে। এদিকে সকালে তার মারা যাবার খবর শুনে গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। খবর পেয়ে আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশি নিহতের বাড়িতে ভির করছেন। নিহত শামীমের স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে আছে।

নিহতের চাচাতো ভাই আবদুল জলিল শিকদার বলেন, শামীম শিকদারের শ্যালক প্রবাল হোসেন দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকেন। তিনি ফোন দিয়ে শামীম শিকদারের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। ঐ দেশের একদল সন্ত্রাসী চাদা চেয়ে না পেয়ে শামীমকে গুলি করে হত্যা করেছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ বছর আগে পরিবার পরিজনদের নিয়ে একটু ভালো থাকার আসায় দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান শামীম শিকদার। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ছুটিতে বাড়ি এসে নভেম্বরের শেষ দিকে আবার আফ্রিকার চলে যান। আফ্রিকার জোহানসবার্গে তিনি ও তার শ্যালক প্রবাল একটি মুদি দোকান করতেন। গত রাতে তারা দুজনের দোকানে অবস্থান করছিলেন। রাতেই স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসেন। এ সময় ওই দোকানের সামনের দিকে বসা তার শ্যালকের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে সন্ত্রসীরা। এসময় তার শ্যালক শামীম শিকদারকে জানালে তিনি দোকানের সামনের দিকে আসে। এ সময় শামীম চাঁদা দিবে না জানালে সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাথাড়ী গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ফজলুরাস হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বাবা আনিছ শিকদারের বলেন, বাবায় আমাগো নিয়ে ভালো থাকতে বিদেশে গেছে। গত সাত মাস আগে ছুটি শেষে আবার ওই দেশে গেলো। কাল রাতে আমাগো কাছে ফোন আসে আমার বাবায় নেই। লাশ দ্রুত বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা চাই।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এইমাত্র নিহতের ঘটনাটি জেনেছি। নিহতের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। তারা গেলে বিস্তারিত জানা যাবে। সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এএসএ/এসপি/জুলাই ১১, ২০২৩)