চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : শিগগিরই ঘোষণা হতে পারে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এতে পদ পদবী পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ‘বিতর্কিতরা। যারা এলাকায় চিহ্নিত ভূমিদস্যু কিংবা মামলার আসামি এমন বির্তকিতরাই তদবির চালাচ্ছেন। পদ বাগিয়ে নিতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন। এদের পিছনের বলয়ে রয়েছে উপজেলার কিছু সুবিধাভোগি যুবলীগ নেতা।

যারা তাদের বিভিন্ন কাছে ব্যবহার করে সুবিধা আদায় করেন। এতে জায়গা পেতে বিতর্কিতরা জোরালো প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। কারণ চরপাথরঘাটায় অনেক নেতাকর্মীদের কোন পব-পদবি নেই। এদের মধ্যে ত্যাগী ছাত্রনেতা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে নানা অপকর্মে জড়িত বিতর্কিতরা। এরাই ত্যাগীদের পিছনে পেলে পদ দখলে নিতে মরিয়া।

কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা রয়েছে, সম্মেলনের মাধ্যমে থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি করার। যাতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের কোনো কমিটিই প্রেস রিলিজে না হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কেউ যাতে পকেট কমিটি করতে না পারে, কেউ যেন নিজস্ব বলয় তৈরি করতে না পারে। সংগঠনের মধ্যে সিন্ডিকেট তৈরি করতে না পারে। সে জন্য সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে কমিটি দেওয়ার কথা রয়েছে। হাইকমান্ডের এ নির্দেশনা জেলায় জেলায় বাস্তবায়ন করতেও বলা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুবলীগের কমিটিতে পদপ্রত্যাশী একাধিক নেতা বলেন, ‘দল সকলের কার্যক্রম বিবেচনা করে দলীয় সাংগঠনিক পদ পদবি দিলে দলের প্রতি আস্থা বাড়বে সাধারণ মানুষের। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়ে কমিটি দিলে আগামী জাতীয় নির্বাচনী বৈতরণী পার করা সহজ হবে। ত্যাগী ও পরিশ্রমী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করে ইউনিয়ন কমিটি দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন সাবেক ছাত্রনেতারাও।

তবে আদৌও কি চরপাথরঘাটা যুবলীগের কমিটিতে এ রকম যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের পদ পদবি দিতে পারবেন? না প্রচার প্রচারণার ভিড়ে বাণিজ্য হবে পকেট কমিটির। কেননা, গত একযুগ থেকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন যুবলীগের ক্ষীণ অবস্থানকে গতিশীল ও সক্রিয় করতে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় এবং ত্যাগী নেতৃত্বদের দরকার।

কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘শিগগরই চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন যুবলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। আগের আংশিক ১৬ সদস্যের সাথে যোগ হয়ে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেওয়া হবে। এর চেয়ে বেশি কিছু জানি না। বলতে পারছি না। উপজেলা নেতারা বিষয়টি জানাবেন।’

‘ভূমিদস্যু ও মামলার’ আসামিরা পদ পাবেন কিনা জানতে চাইলে কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি নাজিম উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘যারা ত্যাগী, ছাত্র রাজনীতি করে ওঠে এসেছে, ওখান থেকে যাচাই বাছাই করে কমিটির পদে আনা হবে। আমার সুস্পষ্ট কথা যারা ভূমিদস্যু, মামলা-হামলার আসামি, ইয়াবা ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি তারা কোনো মতেই কমিটিতে স্থান পাবেন না। কেউ যদি বিতর্কিত হন, অন্যায় কাজে লিপ্ত থাকেন তা হলে তাদের আমরা কমিটিতে ঠাঁই দেব না। এটা আমাদের নেতার নির্দেশ।’

প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ চরপাথরঘাটা এবং জুলধা ইউনিয়ন যুবলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে আনোয়ার সাদাত মোবারক কে সভাপতি ও জাবেদ হোসেন চৌধুরী কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। অপরদিকে জুলধা ইউনিয়নে নুরুল ইসলাম কে সভাপতি ও মো. মনির হোসেন ফরহাদ কে সাধারণ সম্পাদক করে দুই ইউনিয়ন যুবলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

(জেজে/এএস/জুলাই ১৩, ২০২৩)