স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরমানুল ইসলাম রোহান (২২) নামের যুবক হত্যার সঙ্গে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে ফতুল্লা থানার তল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার চিটাগাংরোড এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো এলাকার মৃত নূর ইসলামের ছেলে শাহ আলম (৩৫) এবং একই থানার বাগানবাড়ি এলাকার মৃত রুহুল আমিনের ছেলে ইমরান হোসেন (৩২)।

এসময় পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, গত ১০ জুলাই রাতে আরমানুল ইসলাম রোহান (২২) ও আরমানুল ইসলাম রিপন (২০) নামের দুই ভাই তারাবোর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে সৌদিয়া বাসে উঠলে পরদিন ১১ জুলাই ভোর ৫টায় তারা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার কাঁচপুর ব্রিজের পশ্চিম পাশে নামেন। সেখান থেকে তারা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার কাঁচপুর ব্রিজের পশ্চিম পাশে ঢাকাগামী মহাসড়কের উপর আসলে অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারীরা দুই ছেলেকে আটকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন দুই ভাই তাদের টাকা এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতে বাধা দেন। বাধা দেওয়ায় সাথে সাথে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথারি পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাত করেন ছিনতাইকারীদের। এতে তারা গুরুতর জখম হন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, পরবর্তীতে ভুক্তভোগীদের ডাক চিৎকার শুনে তাদের চাচাতো ভাই গোলাম মোস্তফাসহ আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের সহায়তা নেন। পরে সেখানে থাকা মানুষজন তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আরমানুল ইসলাম রোহানকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আরেক ভাই আরমানুল ইসলাম রিপন (২০) তখন থেকে আইসিইউতে ভর্তি আছেন।

আসামিদের থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, নগদ ১,৫০০ টাকা ও ভিকটিমের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

(এস/এসপি/জুলাই ১৩, ২০২৩)