প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় এক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। 

শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুর ১২টায় কাউনিয়া পয়েন্টে ১৫সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিপাতে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা, বিদ্যানন্দ, নাজিমখান ও ছিনাই ইউনিয়নের কিংছিনাই কালুয়ার চর নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোর নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। এতে প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম পাউবো জানায়, তিস্তাাপাড়ের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে। প্রবল গতিতে পানি তিস্তা নদী বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। আরও কী পরিমাণ পানি আসবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না।

তিস্তার পানিতে উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চর খিতাব খাঁ, চরগতিয়াসাম, বগুড়া পাড়া, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চর চতুরা, চর পাড়ামৌলা, চর বিদ্যানন্দ, কালির মেলা, নাজিমখান ইউনিয়নের চরের কিছু অংশ ও ছিনাই ইউনিয়নের কিংছিনাই ও কালুয়ার চর এলাকার ১০ গ্রামের এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কয়েক’শ একর আমন ধানের বীজতলাসহ অনেক ফসলি জমি তিস্তার পানিতে ডুবে গেছে। ইতোমধ্যে চর এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে যেতে বসেছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতি মুহুর্তে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীর অববাহিকায় চরাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়ার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

(পিএস/এসপি/জুলাই ১৪, ২০২৩)