স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন পাঠানতুলী এলাকায় অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (ভোকেশনাল) এর সামনে থেকে ৮ম শ্রেনীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোঃ সিয়ামকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার বিকেলে স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করা হয় তাকে।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অপহৃত সিয়ামের বাবা শাহিন ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার আসামিরা হলেন, ১। আরফান (২৫) পিতা আমান উল্লাহ সাং এম সার্কাস, হাজীগঞ্জ, থানা- নারায়ণগঞ্জ সদর, ২। মোঃ সাজিদ (২১) পিতা মোঃ জানে আলম, ৩। মোঃ সিয়াম (১৮) পিতা মোঃ বাবুল, উভয় সাং পাঠানটুলি ৪। ঊর্মি (১৮) পিতা অজ্ঞাত সাং পাঠানটুলি নতুন আইলপাড়া, রফিক সাহেবের বাড়ীর ভাড়াটিয়া, সর্ব থানা- সিদ্ধিরগঞ্জ, ৫। মোঃ দ্বীন ইসলাম (১৮) পিতা অজ্ঞাত, সাং হাজীগঞ্জ গোপটা, জামান সাহেবের বাড়ীর ভাড়াটিয়া।

এবিষয়ে অপহৃত সিয়াম ঘটনার বিবরণ দেয়ার সময় কেঁদে কেঁদে বলেন, আমি কিছুই জানতাম না। আমি স্কুল থেকে বাসায় আসার সময় আরফান, সাজিদ, সিয়াম, দ্বীন ইসলাম রাস্তার মধ্যে আমাকে মারধর করে, আমার পেটে চাকু ধরে মটর সাইকেল করে একটি ক্লাবে নিয়ে এসে সবাই মিলে আমাকে মারধর করে। আমি তাদেরকে বলছি আমি কিছুই জানিনা। আমাকে আর মাইরেন না ভাই। আমি কথা বললে তারা আমাকে আরো বেশি করে মারধর করা শুরু করে। একসময় আমার খালাতো ভাই রিফাতের নম্বর নিয়ে তাকে ফোন করে হুমকি দিতে শুরু করে সে যদি না আসে তাহলে আমাকে তারা মেরে ফেলবে।

রিফাত জানান, আরফান আমাকে ফোন করে বলে কো-অপারেটিভ ব্রিজের পাশের পরিত্যক্ত ক্লাবে না গেলে তারা আমার ফুফাতো ভাই সিয়ামে মেরে ফেলবে। আমি সাথে সাথে আমার ফুফাকে কল দিয়ে বিষয়টি জানাই।

অপহৃত শিশুর বাবা শাহিন ইসলাম বলেন, রিফাত আমাকে কল দিয়ে জানানোর সাথে সাথে আমি আমার ভাই মনির ক্লাবে যাই। ক্লাবের সামনে গিয়ে আমি ৯৯৯ এ কল করে পুলিশ এনে আমার ছেলেকে উদ্ধার করি। তিনি আরো বলেন, আমার ছেলের নামে ঊর্মি ফেক টিকটিক ও ইমু আইডি খুলে আরফান কে গালাগালি করে। যা আমার ছেলে কোনকিছুই জানতোনা। এজন্য আমার ছেলেকে দলগতভাবে পূর্ব পরিকল্পনা করে তারা অপহরণ করে। তার আমার ছেলেকে অপহরণ করে জোর পূর্বক নীট কনসার্ন গার্মেন্টস এর পিছনে কো-অপারেটিভ ক্লাবের পাশে একটি কক্ষে নিয়া আটক করে লোহার রড, লাঠি ও এসএস পাইপ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হত্যার চেষ্টায় মারধর ও জখম করে।

উক্ত বিষয়ে এসআই হুমায়ুন কবির জানান, মামলাটি তদন্তধীন রয়েছে।

(এস/এসপি/জুলাই ১৫, ২০২৩)