সোনালী ডানার চিল

হয়ত আমি আর পারব না, কিংবা আমাকে দিয়ে আর হবে না সাতকাহন

তমসা পেরিয়ে যে বৃন্দাবন, সেখানে আমি আর হবো না ঘোষাল কোন

দুধ কলা দিয়ে যে অন্তরের সাপ আমি পুষেছি,

তার আরোগ্য আমার কনুইয়ের ঘায়ে লবণের ছিটা;

অসম বাঁধনে তাই বৈরিতা দাবদহের মতো শুধুই ছোপ ফেলে

আর কাকুতি মিনতি করে বিগ্রহের কাছে,

যাকে সকালে বিকালে মুখে তুলে খাওয়াতে হয় চিনিগুড়

আমাকে ছেড়ে যাও তুমি

এ নির্বাসনের পাতালে, এ জীবনখাদক প্রহেলিকার শহরে

যেখানে মানুষের শিশু খায় কুকুরের দুধ,

আর ফেনিল টাকা গোনে হিজড়ার বাথানে কল্পিত পুরুষাঙ্গ,

যাকে শিবও বলা যায় আবার মূষিকও বলা যায়

আমার ঘায়ে তুমি ডেটলের প্রলেপ দিতে চাও!

আমার বিগ্রহের তুমি প্রসূতি-মা হবে!

আমার শরীরে তুমি রাধার আকুতি ছড়াবে!

আমি হয়ত চেয়েছিলাম তা, কোন এক দূরতম অতীতে

আমি হয়ত ফেলে এসেছি এসব হিরনপয়েন্টের কোন শুশুকের পেটে

আমার হয়েছে ব্যাধি ঘননীল, আমার উপশম যেন কুন্তলের একাকী

ধবল শশ্রুতে, জামার হাতায় যেখানে রাত্রিকালীন প্রেম ঝরেছিল কোন কালে

আমি জানি আমাকে ছেড়ে যাবে তুমিও

আমি জানি বৃথা এ বাদানুবাদ

নির্ধারণের সুতায় বইছে এখন নানা ক্ষোভ

মাতাল যাত্রীও দোসর তোমার

পুনশ্চঃ

অভিমান যেখানে উৎপ্রেক্ষা

দাবানল যেখানে শোকের মূল্যমান

কবিতার অহেতুক হ্রেসা, শুধু নিজের পলায়নপরতার সমাঝোতা আর

গুবরেপোকার নাড়া টানার দুঃসাহস নয় কি!

'ভালোবাসা তোমাকে তাই বলীর পাঁঠা করলাম আজ!!