মো. আল-আমিন, শ্রীমঙ্গল : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের পুরান বাজার মোনায়েম প্লাজায় ‘নিউ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামে একটি বেসরকারী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের ভুল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৬জুলাই) এমন অভিযোগ তুলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার জেরিন চা বাগানের শিবলাল দাসের ছেলে গর্ভবতী স্ত্রী সুমি দাসের স্বামী ইন্দ্রজিৎ দাস।

ভুক্তভোগীর গর্ভবতী স্ত্রী সুমি দাসের স্বামী ইন্দ্রজিৎ দাস জানান, গত ৩ এপ্রিল আমার গর্ভবতী স্ত্রী সুমি দাসকে নিয়ে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করার জন্য শ্রীমঙ্গল শহরের পুরান বাজার মোনায়েম প্লাজা ‘নিউ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার’এ যাই। সেখানে অন্যান্য শারীরিক পরিক্ষার সাথে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় এর রিপোর্ট প্রস্তুত করে ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে দেয়। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্ট অনুযায়ী আমার স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ আসে এবি নেগেটিভ (AB-)। আমার স্ত্রীর চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে এর প্রায় ২ মাস পর (৮ জুলাই) সোমবার অন্য একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্তের গ্রুপ পরিক্ষা করাতে গেলে সেখানে রিপোর্ট আসে বি' পজেটিভ (B+)। এখানে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দুটি রিপোর্ট আসায় আমি বেশ চিন্তিত হয়ে পরি যে কোন টা সঠিক। পরবর্তীতে আবারো ১৬জুলাই অন্য আরেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় এর জন্য গেলে সেখানে রিপোর্ট আসে বি পজেটিভ (B+)। তখন আমি ও আমার স্ত্রী বুঝতে পারি শহরের নিউ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে আমাদের ভুল রিপোর্ট দেয়া হয়েছিলো। এই ভুল রিপোর্টের কারনে আমার স্ত্রী মারাত্মক শারীরিক সমস্যায় পরতে পারতো। আমরা পকেটের টাকা খরচ করে এধরনের ভোগান্তিতে পরতে হয়।

ভুক্তভোগী আরোও বলেন,ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মতো একটি মহৎ প্রতিষ্ঠান খুলে সেখানে রোগীদের ভুল রিপোর্ট দিয়ে প্রতারনা করার বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি। যদি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভুল রিপোর্ট দেয়ার বিষয় প্রমাণিত হয় তাহলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানান।

এ বিষয়ে ‘নিউ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ এর প্রতিষ্টাতা মালিক বিভুতি ভুষন রায় ব্লাড গ্রুপের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে জানান,আমাদের ভুল হয়েছে আমরা শিকার করছি। আমাদের ট্রাইপের কারনে এমন ভুল হয়েছে। তবে এমন ভুল কোনো ভাবে কাম্য নয় বলে তিনি জানান। আমি রোগীর সাথে কথা বলেছি। তাদের সাথে আমাদের সমযথা হয়েছে। তিনি আরও বলেন আমার সেন্টারে যারা এই রিপোর্টের কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা.চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন,ভুল রিপোর্টের এমন একটা ঘটনা আমি শুনেছি। ভুক্তভোগী রোগীরা যেন ২ কপি ছবি লাগিয়ে একটা কপি স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের কর্তীপক্ষ সাজ্জাদ সাহেবের কাছে দেন আর আমার কাছে একটা আবেদন যেন পাঠান। তাছাড়াও আমি বিষয়টি দেখছি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

(এএ/এসপি/জুলাই ১৮, ২০২৩)