সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের ১১ তম মহা প্রয়ান দিবসে জন্মস্থান কেন্দুয়ার কুতুবপুরে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা হয়েছে। 

আজ বুধবার সকাল ১১ টা থেকে বিকেল পর্যন্ত হুমায়ুন আহমেদের নিজ হাতে গড়া শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের উদ্যোগে হুমায়ুন আহমেদের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, শোক র‌্যালী, কালো পতাকা উত্তোলন, কালো বেশ ধারন, ছবি আঁকা, কোরআন খানি ও বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

শহিদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, প্রতি বছরই আমরা হুমায়ুন আহমেদ স্যারের জন্মদিন ও প্রয়ান দিবসের নানা কর্মসূচি পালন করে থাকি। এই কর্মসূচিতে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক পরিচালনা কমিটির সদস্য ছাড়াও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, আমরা এসব কর্মসূচির মাধ্যমে স্যারকে স্মরণ করি এবং তার কর্মময় জীবনের স্মৃতি চারণ করি। আমরা চাই তিনি তার কর্মময় জীবনে স্মৃতির মাধ্যমে অনাদিকাল বেঁচে থাকুন।

কুতুবপুরে হুমায়ুন আহমেদ স্মৃতি জাদুঘর নির্মানের দাবি জানিয়েছেন রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফুর রহমান আকন্দ তিনি বলেন, আজ বুধবার সকালে আমরা শহিদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গনে হুমায়ুন আহমেদের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি।

বিদ্যালয়টির উদ্যোগের গ্রহণ করা হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। এতে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাড়াও এলাকাবাসী অংশ গ্রহণ করেছেন। আমি সমস্ত এলাকাবাসীর পক্ষে নতুন প্রজন্মকে হুমায়ুন আহমেদ সম্পর্কে আরো বেশি বেশি জানার জন্য বই পড়ার জন্য বর্তমান সরকারের নিকট “কুতুবপুরে হুমায়ুন আহমেদ স্মৃতি জাদুঘর” নির্মানের দাবি জানাই। একই সঙ্গে চেংজানা হতে বঙ্গবাজার ভায়া সহিলাটি পর্যন্ত হুমায়ুন আহমেদ ভাঙাচুড়া সড়কটি সংস্কার করে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সহ এলাকাবাসীকে চলাচলের সুন্দর ব্যবস্থা করে দেয়ার দাবি জানান তিনি।

চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান আরো বলেন, প্রতিদিনই এই সড়ক দিয়ে কুতুবপুরের শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠে শতশত মানুষ আনাগুনা করেন। যান চলাচলও করে পর্যটকরাও আসেন। স্মৃতি জাদুঘর নির্মিত হলে এখানে প্রতিদিন আরো বেশি বেশি লোক আসবে। তাই সড়কটি সংস্কার করা এখন সময়ের দাবি বলে মনে করেন তিনি।

(বিএস/এসপি/জুলাই ১৯, ২০২৩)