শেখ ইমন, শৈলকুপা : প্রায় ৪ লক্ষ মানুষের জন্য রয়েছে একটি সরকারী হাসপাতাল। যেখানে প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে ৫শত রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। সেই হাসপাতালে ৩ বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন। যার স্থান হয়েছে স্টোর রুমে। এমন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক বা ক্লিনিক থেকে বেশি টাকা খরচ করে আলট্রাসনোগ্রাফী করতে হচ্ছে। এতে ওষুধ, পরীক্ষা-নীরিক্ষা সহ চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে। খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন রোগীরা। আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে থাকায় যেমন চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে তেমনি সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।

এমন চিত্র ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। উপজেলাটিতে রয়েছে ১টি মাত্র ৫০ শয্যার সরকারী হাসপাতাল। সেখানে আবার ৩ বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি। আলট্রাসনোগ্রাফী করতে আসা রোগীরা এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। মেশিন নষ্ট হওয়ায় বাইরে থেকে রোগীরা বেশী দামে পরীক্ষা করছে।

আলট্রাসনোগ্রাম করতে আসা পৌর এলাকার মাঠপাড়া গ্রামের বাসিন্দা লাকী খাতুন বলেন, হাসপাতালে এসেছিলাম কম টাকায় আলট্রাসনোগ্রাম করতে। এসে শুনছি মেশিন ৩ বছর ধরে নষ্ট। এখন বাইরে থেকে করতে হবে। বাইরে তো দাম বেশী এখন কি করি ভেবে পাচ্ছি না।

উপজেলার হরিহরা গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ বলেন,সরকারী খরচে আলট্রাসনোগ্রাম করবো বলে হাসপাতালে এসেছিলাম। হাসপাতালের মেশিন নষ্ট হওয়ায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। বাইরে থেকে আলট্রাসনোগ্রাফী করার মত কাছে টাকা নেই।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সাল থেকে আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি মাদারবোর্ড সমস্যায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে। পরে বিভিন্ন সময় ইঞ্জিনিয়ার ডেকেও সচল করা যায়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলট্রাসনোগ্রাফী করতে সরকারি ফি দিতে হয় ২শ টাকা। একই পরীক্ষা বাইরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করতে খরচ হয় ৫ থেকে ৭ শ’ টাকা। বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসব পরীক্ষা করাতে রোগীদের খরচ হচ্ছে দুই-তিন গুণ টাকা।

শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুজায়েত হোসেন বলেন, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন মাদারবোর্ড জনিত সমস্যার কারণে অকেজো হয়ে আছে। সি এম এইচ ডি বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখনো কোন মেশিন আসেনি।

(এসআই/এসপি/জুলাই ২০, ২০২৩)