স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে চারজনে। সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে আগুন নেভাতে যাওয়ার পথে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চালক অসুস্থ হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- হাজীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর হোসেন (৫৮), জামতলার সালাউদ্দিন সাবু (৪৮), শহরের মাসদাইরের পাকাপুল এলাকার রিকশাচালক সিরাজুল ইসলাম (৫০) এবং ইসদাইর সুগন্ধা এলাকার আমজাদ হোসেন (৫২)।

জানা যায়, ফতুল্লার বিসিকে একটি গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি যাওয়ার সময়ে চাষাঢ়া সান্তনা মার্কেটের সামনে হঠাৎ করেই চালক জাহাঙ্গীর হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ওই সময়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িটি তার সামনে থাকা তিনটি অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারসহ আনন্দ পরিবহনের একটি বাসকে ধাক্কা দেয়।

ফায়ার সার্ভিস ঢাকা সদর দপ্তরের উপপরিচালক আক্তারুজ্জামান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর হোসেন গাড়ি নিয়ে বিসিক শিল্পনগরীতে যাচ্ছিলেন। চাষাঢ়ায় চালক হঠাৎ স্ট্রোক করে মারা যান বলে গাড়িতে থাকা ফায়ার সার্ভিসের কর্মী জানিয়েছেন।

গুরুতর আহত অবস্থায় রিকশাচালক সিরাজুলকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে পথেই তিনি মারা যান।

এছাড়া রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান আমজাদ হোসেন। তিনি মামুন পরিবহন নামের টিকিট কাউন্টারে ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফায়ার সার্ভিসের চালক গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ হারান। এতে আনন্দ পরিবহনের বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে সালাউদ্দিন সাবু মারা যান। তিনি গাড়ির চাকায় আটকে থাকেন। গাড়ি কেটে তাকে উদ্ধার করা হয়।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকার বাসিন্দা ইরানি ও রোকন, শহরের জামতলা এলাকার নাজমা ও মুন্সিগঞ্জের রেশমা।

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির চালক জাহাঙ্গীর হোসেনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

(এমএস/এএস/জুলাই ২৫, ২০২৩)