চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা এলাকার থাকা ১৮টি আবাসিক হোটেলের লাইসেন্স বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা অভিযোগ তোলেছেন এসব হোটেল গুলোতে দীর্ঘদিন যাবত অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছে। একাধিকবার অভিযান চালিয়ে পতিতা আটক করা হলেও অনৈতিক ব্যবসাসমূহ বন্ধ হচ্ছে না।

সোমবার (২৪ জুলাই) লাইসেন্স বাতিলের আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আলোচ্য হোটেলসমূহে প্রায় সময় আবাসিক রুম ভাড়া দেওয়ার আড়ালে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালিত হচ্ছে। এসব হোটেল থেকে বেশ কয়েকবার নারী-পুরুষদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছেন।

অন্যদিকে, হোটেল মালিক ও ম্যানেজারদের বারবার অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকা এবং লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী আবাসিক হোটেলে সাধারণ বোর্ডারদের কাছে রুম ভাড়া দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে অসামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।

এজন্য কোতোয়ালি ওসি ডিসির কাছে হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।

কোতোয়ালী থানার ওসি মো. জাহিদুল কবীর বলেন, অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে বারবার এসব হোটেলে অভিযান চালিয়েও তা রোধ করা যাচ্ছে না। তাই কোতোয়ালী থানা এলাকার এসব হোটেলের লাইসেন্স বাতিল করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন।

চট্টগ্রামে যেসব হোটেলের লাইসেন্স বাতিলের জন্য করা হয়েছে, সেসব হোটেল গুলো হল-পুরাতন গির্জা সড়কের হোটেল লুসাই ইন, কে সি দে সড়কের হোটেল সাউদিয়া, লালদিঘির পাড় এলাকার হোটেল এস নাইট (সুপার হেস্ট হাউস), রঙ্গম কনভেনশন হল এলাকার হোটেল ক্যামেলিয়া (হোটেল সম্রাট), ফিরিঙ্গিবাজার ব্রিজঘাট এলাকার হোটেল নেভাল আবাসিক ও হোটেল কর্ণফুলী আবাসিক, নন্দনকানন শিক্ষা অফিসের পাশে হোটেল মুসলিম আবাসিক ও হোটেল বিরাজ, বিআরটিসি এলাকায় হোটেল সিলভার ইন ও হোটেল হিলটাউন আবাসিক, স্টেশন রোডের হোটেল গেইটওয়ে আবাসিক, হোটেল মেট্রো ইন, হোটেল গেস্ট ইন, ইকবাল বোর্ডিং, হোটেল গণি আবাসিক ও হোটেল ঢাকা আবাসিক, জহুর হকার্স মার্কেটের পাশে লয়েল রোডে হোটেল দরবার আবাসিক ও হোটেল আদর আবাসিক।

(জেজে/এএস/জুলাই ২৫, ২০২৩)