স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহে সাব-মারসিবল টিউবওয়েল ও মাতৃত্বকালীন ভাতা করে দেওয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের এক চৌকিদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা উপজেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে মৌখিক ও লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েও ন্যায় বিচার পায়নি। অস্বচ্ছল ব্যক্তিরা টাকা ফেরত পেতে সরকারের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানা গেছে, সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের কুলবাড়িয়া গ্রামের অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের সাব-মারসিবল টিউবওয়েল ও মাতৃত্বকালীন ভাতা দেওয়ার কথা বলে ওই ইউনিয়নের চৌকিদার মজনু খাঁ জনপ্রতি ২০-২৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়। পরে ভুক্তভোগীদের বিশ্বাস অর্জন করার জন্য ব্যাংকের নকল চালান কপি দেওয়া হয়। তারপর কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও সাব-মারসিবল টিউবওয়েল ও মাতৃত্বকালীন ভাতা না পেয়ে ওই সকল অস্বচ্ছল ব্যক্তি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খুরশিদ আলমের দ্বারস্থ হন।

ভুক্তভোগী জাকির হোসেন, গোপাল বিশ্বাস, জিয়া হোসেন,সঞ্জয় কুমার বিশ্বাসসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, চৌকিদার মজনু খাঁ আমাদের কাছে এসে বলে চেয়ারম্যান বলেছে তোমাদেরকে জীবানুমুক্ত পানির জন্য সাব-মারসিবল টিউবওয়েল দেওয়া হবে। এজন্য প্রত্যেককে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে। আমরা লেখাপড়া না জানায় চেয়ারম্যানের নাম শুনে মজনু চৌকিদারের হাতে একেকজন ২০-২৫ হাজার টাকা দিই।

কুলবাড়িয়া গ্রামের মসজিদের ইমাম মাওলানা রফিকুল ইসলাম জানান, আমার স্ত্রীর মাতৃত্বকালীন ভাতা করে দেওয়ার নামে মজনু ৮হাজার টাকা নিয়েছে।

এছাড়াও আমাদের পাড়ার শিলা খাতুন, নাজমা খাতুন ও তাসলিমার কাছ থেকেও ভাতা করে দেওয়া নামে টাকা নিয়েছে। তিনি খুরশিদ চেয়ারম্যানের কাছের লোক হওয়ায় আমরা তার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছিনা।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মজনু খাঁকে তার ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিক বার কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম জানান, তারা আমাকে না জানিয়ে চৌকিদারকে টাকা দিল কেন ? তবে বিষয়টি আমি দেখছি কি করা যায়।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন জানান, ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(একে/এএস/জুলাই ২৬, ২০২৩)