শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের ধীপুর গ্রামের একটি পানের বরোজের ভিতর থেকে বৃহস্পতিবার সকালে কল্পনা বেগম (২০) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত কল্পনা বেগম ধীপুর গ্রামের আব্দুল জলিল সরদারের মেয়ে।

গোসাইরহাট থানা পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১০ মাস আগে ঢাকা জেলার মীরপুর-১০ এর ১ নং রোডের মুসলিম বিহারী ক্যাম্প এলাকার আলী আকবর বিহারীর ছেলে হায়দার আলী (২৫) এর সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই হায়দার ও তার স্ত্রীর সাথে পারিবারিক কলহ চলছিল। তিন দিন আগে ঢাকা থেকে স্বামী হায়দারের সাথে বাবার বাড়িতে বেরাতে আসেন কল্পনা বেগম। বুধবার সন্ধ্যার পর তারা স্বামী-স্ত্রী কথা কাটাকাটি করে। এরপর রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে হায়দার কল্পনাকে নিয়ে বাইরে যায়। কিছুক্ষন পর হায়দার একা ঘরে ঢুকে তার ব্যাগ নিয়ে চলে যায়। রাত ১০টার দিকে কল্পনা ঘরে না ফেরায় তাকে খঁজতে থাকে কল্পনার মা বাবা।

কল্পনার বাবা দিন মজুর জলিল সরদার জনান, বিয়ের পর থেকেই কল্পনার নানা ধরনের অত্যাচার করতো হায়দার। মেয়ের সুখের কথা ভেবে আমরা চুপ থাকতাম। তিন দিন আগে মেয়েকে নিয়ে জামাই বেড়াতে আসে। বুধবার সন্ধ্যায় কল্পনার সাথে ঝগড়া করে হায়দার ঢাকা চলে গেছে এই কারনে মেয়ে মন খারাপ করে হয়তো অন্য কোনো ঘরে ঘুমাতে গেছে এই ভেবে আমরা ঘুমিয়ে পরি। বৃহস্পতিবার সকালেও কল্পনাকে কোথাও না পেয়ে নতুন করে বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সকাল সারে আটটার দিকে বাড়ির পাশের একটি পানের বরোজের ভিতরে কল্পনার লাশ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারী ঘাতক হায়দারকে আটক করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।

গোসাইরহাট থানার ওসি মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, কল্পনা তার স্বামীর হাতেই বুধবার সন্ধ্যা রাতে ঘুন হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

(কেএনআই/এএস/অক্টোবর ৩০,২০১৪)