অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের শৈলকূপায় এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি, গৃহবধূর স্বামী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছেন। 

আজ সোমবার ভোরে পুলিশ উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের পদমদি গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। গতকাল রোববার মধ্যরাতে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটে বলে জানা গেছে।নিহত গৃহবধূর নাম নাজমা খাতুন (৪০)। নাজমা খাতুন পদমদী গ্রামের মৃত ইজাহার শেখের মেয়ে। তাঁর স্বামীর নাম রইচ মণ্ডল (৪৫)। তিনি চর ত্রিবেনী গ্রামের আজিজ মণ্ডলের ছেলে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২৮ বছর আগে নাজমার সঙ্গে রইচ মণ্ডলের বিয়ে হয়। রইচ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। নাজমা খাতুন বাড়িতেই থাকেন। তাঁদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। গত ঈদুল আজহার আগে তাঁরা জানতে পারেন রইচ উদ্দিন ঢাকায় আরেকটি বিয়ে করেছেন। এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে।

নাজমা খাতুনের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী চম্পা খাতুন জানান, ঘটনার তিন দিন আগে রইচ মণ্ডল শ্বশুরবাড়িতে যান। রবিবার রাতে নাজমা ও রইচ তাঁদের সাত বছরের শিশু সন্তানসহ শ্বশুরবাড়িতে রাতে অবস্থান করেন। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রইচ তাঁর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান। এরপর রইচের ভাই নাজমার ফুপাতো বোনকে কল দিয়ে খোঁজ নিতে বলেন। পরে নাজমা খাতুনের মোবাইলে কল দিয়ে তাঁকে না পেয়ে পরিবারের অন্য লোকজনকে জানালে তাঁরা ঘরে গিয়ে দেখেন শিশুসন্তানটি অন্ধকারে কাঁদছে ও নাজমার গলাকাটা বিবস্ত্র মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, পদমদী গ্রামে নাজমা খাতুন নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকেই তাঁর স্বামী পলাতক রয়েছেন। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

(একে/এসপি/জুলাই ৩১, ২০২৩)