রাজন্য রুহানি, জামালপুর : বিএনপির যুগ্মমহাসচিব এড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ‘সরকারের অতি উৎসাহী কোনো কর্মকর্তা যেন বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা না দেন। মহানগর ও জেলা পর্যায়ে গণতান্ত্রিক অধিকার ফেরতের লক্ষে, বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহের দাবিতে, খাদ্যদ্রব্যের মূল্য কমানো, ভোট এবং ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি আমরা পালন করছি, সেই কর্মসূচিতে অতি উৎসাহী কোনো কর্মকর্তা যদি বাধা সৃষ্টি করেন, কারো নির্দেশে যদি কোনোরকম অন্যায় ও অবিচার আমাদের ওপরে করা হয় তবে আমরা তাকে দীর্ঘদিন মনে রাখব ইনশাআল্লাহ।’

সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে জামালপুর কোর্ট চত্ত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকার প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা ও গণগ্রেফতারের ঘটনায় জামালপুরে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করে জেলা বিএনপি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে জামালপুরে দায়েরকৃত মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীর স্থায়ী জামিন পাবার পর তাৎক্ষণিক অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি আরও বলেন, 'বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলাসহ যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অবিলম্বে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদেরকে আমরা মুক্ত করব। আপনাদের (সরকার) কাছে আমরা তাদের মুক্তি চাইনা। কারণ যারা দেশকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে, গোটা বাংলাদেশকে যারা বন্দী করে রেখেছে, তাদের কাছে কোনো ব্যক্তি/নেতার মুক্তি দাবি করলে সেটা অর্থহীন হবে এটা আমরা বুঝি। সুতরাং অনতিবিলম্বে শান্তির স্বার্থে মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রামের প্রতি সন্মান জানিয়ে তাদেরকে যেন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্ত করা যায় সে প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে।'

জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। এ সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির জলবায়ু বিষয়ক সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২১ মে অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির অভিযোগে বিএনপির ৫ নেতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ। ২৩ মে দুপুরে করা ওই মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, জেলা বিএনপি'র সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন ও মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে আসামি করা হয়। এ মামলায় সোমবার (৩১ জুলাই) তারা স্থায়ী জামিন পান।

(আরআর/এসপি/জুলাই ৩১, ২০২৩)