স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যশোর : যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ফের জাল সনদের জালে একজন কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত বোর্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী সনদ জাল পাওয়ায় গুরুদণ্ডের শাস্তি স্বরূপ তাকে চাকরি হতে বরখাস্তের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

আজ সোমবার দুপুরে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৯৩ তম সভায় জাল সনদ পাওয়ার অভিযোগে কর্মচারীর বিরুদ্ধে সর্ব সম্মতি ক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে এর আগে সনদ যাচাই সংক্রান্ত কমিটি রিজেন্ট বোর্ডে প্রতিবেদন পেশ করে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়। এ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় তদন্ত বোর্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় জাল সনদধারী ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে বরখাস্তের এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের অনেকে ভার্চুয়ালি এবং সশরীরে সভায় অংশ নেন।

রিজেন্ট বোর্ডের সভায় জানানো হয়, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের অফিস সহায়ক মোঃ সুমন হোসেন (এসএসসি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, যশোর) সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায়, তদন্ত বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী গুরুদণ্ডের শাস্তিস্বরূপ তাকেও বিশ্ববিদ্যালয় হতে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এছাড়া সনদ জালের অভিযোগে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (ইএসটি) বিভাগের টেকনিক্যাল অফিসার মো. জাহিদ হাসান (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়)-কে পূর্বেই গুরুদণ্ডের শাস্তি স্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয় হতে বরখাস্ত করা হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টের স্থিতিবস্থা জারি হলে তাঁর শাস্তি রহিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় এই স্থিতিবস্থার বিরুদ্ধে আপিল করলে, আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে আদেশ জারি করেন। ফলে বর্তমানে জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রদানের আইনি বাধা না থাকায়, রিজেন্ট বোর্ডের ৯৩তম সভায় তাঁর বরখাস্তের শাস্তি বহাল রাখা হয়।

যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আনিছুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আবু ইউসুফ মিয়া, যুগ্ম সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো: সলিমুল্লাহ, সাভারের পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম আসাদুজ্জামান, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম শাহী আলম, ইউজিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম. এ. রশীদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহসান হাবীব, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব ও যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব।

(এসএ/এসপি/জুলাই ৩১, ২০২৩)