রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দুরে ফকিরহাট এলাকায় বসবাস কৃষক জয়নাল মিয়ার।

গেলো বোরো মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে ধানচাষ করে ঘরে তুলেছিলেন ৮০ মন ধান। সারা বছর খেয়েদেয়ে ৪০ মন ধান বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন কৃষক জয়নাল মিয়া। প্রথম দিকে উপজেলার সরকারি গুদামে ধান দিতে চাইলেও পরে যখন দেখেন সরকারি ক্রয় মুল্যের সাথে বাজার মূল্যের তেমন পার্থক্য নেই তাই ১৪ কিলোমিটার দুর থেকে পরিবহন খরচ দিয়ে গুদামে ধান বিক্রি না করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন তিনি।

কৃষকরা বলছেন, আলাদা পরিবহন খরচ,বাজার মুল্যের সাথে সরকারি মূল্যের তেমন পার্থক্য না থাকা, বিক্রির সাথে সাথেই হাতে টাকা না পাওয়াসহ বিভিন্ন ঝামেলার কারনে তারা স্থানীয় বাজারেই ধান বিক্রি করতে আগ্রহী। মূল্যবৃদ্ধিসহ গুদামে ধান দেওয়ার শর্তগুলো শিথিলের দাবী করছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিসার ফাতেমা কাওসার মিশু বলেন, গেলো বোরো মৌসুমী এই উপজেলায় ৮৯ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হয়েছে।কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সরকারি গুদামে ধান দেয়ার পরামর্শও দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লা আল মামুম সিদ্দিকীর দেওয়া তথ্য মতে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১০৫৩ মেট্রিকটন ধান ক্রয়ের সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। উপজেলার ধানচাষীদের কাছ থেকে সরাসরি এক হাজার দুইশত টাকা মন ধরে এই ধান ক্রয়ের ঘোষণা দিয়ে গত ২৮ মে থেকে ধান ক্রয় করা হয়। আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৭৫ মণ ধান খাদ্য গুদামে বিক্রি করতে পারবেন। দু'মাস গত হলেও এ পর্যন্ত ৫৭৫ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লা আল মামুন সিদ্দিকী জানান, চাল ক্রয়ে আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল সেটা প্রায় পূরুন হয়েছে, ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরুন করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

(আর/এসপি/জুলাই ৩১, ২০২৩)