রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুরে বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ৩২ নেতাকর্মীর নামে মামলা করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। নাশকতা ও অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করার ষড়যন্ত্রে বিস্ফোরক দ্রব্যসহ জমায়েত হয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টির অভিযোগে করা হয়েছে মামলাটি।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পৌর যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ইমরান হোসেন ইরান, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক রমজান আলী রঞ্জু, সদস্য শহিদুর রহমান, শহর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মুক্তা, মৎসজীবী দলের যুগ্মআহ্বায়ক সাহেব আলী ও যুবদল নেতা সিরাজসহ ১৩জন নেতাকর্মী।

সোমবার (৩১ জুলাই) জামালপুর সদর থানায় এসআই মো. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। এর আগে রবিবার (৩০ জুলাই) বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আটককৃত ১৩ জন নেতাকর্মীকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

গ্রেফতারকৃত ছাড়া মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন পল্টন ও খন্দকার আহসানুজ্জামান রুমেল, সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন খান লোটন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি সফিউর রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন মিলন, শহর বিএনপির সভাপতি লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক শাহ মাসুদ, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূরুল মোমিন আকন্দ কাউসার, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন কর্নেল প্রমুখ।

এ বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, এটি একটি সাজানো ও মিথ্যা মামলা। আগের দিন ১৩ নেতাকর্মীকে আটক করে পরদিনের মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ ইমন জানান, বিস্ফোরক দ্রব্যসহ নাশকতা ও ষড়যন্ত্রের এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

(আরআর/এএস/জুলাই ৩১, ২০২৩)